স্টাফ রিপোর্টার : চমকে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা দেশকে তো বটেই, এত দিন যাদের অপরাজেয় বলে মনে করা হচ্ছিল, সেই প্রবল ক্ষমতাধর শাসক বিজেপিকেও তিনি চমকে দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফল নিজের অনুকূলে এনে দুটি বিষয় তিনি স্পষ্ট করে দিলেন। প্রথমত, বিজেপি অজেয় নয়। দ্বিতীয়ত, বিজেপিবিরোধী যেকোনো জোটবদ্ধতায় তিনিই হবেন আগামী দিনের প্রধান অনুঘটক।

২০৬টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই অসাধারণ জয়ের জন্য অভিনন্দন। 'নিজের মেয়েকেই বেছে নিল বাংলা'র মানুষ।

মমতার এবার নির্বাচনের স্লোগান ছিল 'খেলা হবে'। এ স্লোগানেই প্রচারের জন্য গান বাঁধা হয়, পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে যায় নির্বাচনী এলাকা। সেই স্লোগান দিয়েই বাজিমাত করেছে তৃণমূল। হুইলচেয়ারে বসে জনসভা থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। বলেছেন, এক পায়েই এমন শট মারব না, বাংলা পার হয়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত খেলায় জিতেছেন তিনি। আরেকটি স্লোগান দিয়েও উত্তাপ ছড়ায় তৃণমূল- বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। সেটিও ভোটে প্রমাণিত হয়েছে।

অভিনন্দন বার্তায় এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তজা ও মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন,ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১, ২০১৬-এর পর ২০২১ সালে জয়ের মাধ্যমে দলটি টানা তিনবার বিজয়ের খ্যাতি অর্জন করল।সেই দীর্ঘ লড়াই আর আত্মত্যাগের আজ মধুর ফল পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মাটি কামড়ে কীভাবে পড়ে থাকতে হয়, তা শিখিয়ে দিলেন।

পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতের যেকোনো নির্বাচন সম্পূর্ণ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যারাই সরকার গঠন করুন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও পাশের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে নৈকট্য, তা যেন আরো গভীরে প্রোথিত হয় এবং আমাদের দু’দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর দ্রুত সমাধান হোক, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা। এবং আমরা চাই, ভারতে সবসময় গণতন্ত্রের বিজয় হোক।

কখনও মমতাময়ী জননেত্রী হিসাবে তো কখনও অভিভাবক, আবার কখনও কড়া দলনেত্রী হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন। আম্পান হোক বা করোনার চোখ রাঙানি, আদর্শ ক্যাপ্টেনের মতোই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।এবার পশ্চিমবঙ্গের ভোটের ফল প্রমাণ করে দিয়েছে, মমতার জনপ্রিয়তা, তাঁর প্রতি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান বৌদ্ধদের বিশ্বাস এবং আস্থা-ভরসাকে টলাতে পারেননি শাহ-নাড্ডা-স্মৃতি ইরানিরা। ‘এই দুরন্ত জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন।

তৃণমূলের বিজয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।এ সাফল্য বিশ্বব্যাপি বাঙালি নারীর ক্ষমতায়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

(ওএস/এসপি/মে ০৩, ২০২১)