ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : ফেইসবুক লাইভে বক্তব্য, মন্তব্য, স্ট্যাটাস দিয়ে গত ৫ মাস ধরে বরাবরই আলোচনা সমালোচনায় থাকছেন বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। 

যদিও স্থানীয় উপজেলা আ.লীগের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সভা সমাবেশে বলে আসছে কাদের মির্জার মিথ্যাচারে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ শান্তিতে নেই।

সোমবার (৩ মে) ২টা ৩৩ মিনিটের দিকে নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন কাদের মির্জা। ওই স্টাটাসে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেন, নোয়াখালী ৪ আসনের এমপি ও জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নাম উল্লেখ্ করে লিখেন, একরামুল করিম চৌধুরী দুবাই অবস্থান করে তাকে ও তার সন্তানকে আগামী ৬ তারিখের মধ্যে হত্যা করবে।

নিচে তার স্টাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো, একরামুল করিম চৌধুরী দুবাই অবস্থান করে আমি ও আমার সন্তান কে আগামী ৬ তারিখের মধ্যে হত্যা করবে। ইতিমধ্যে এই হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য ৩ টি অক ৪৭ ক্রয় করা হয়েছে। আমি সত্যের পথে আছি থাকবো, সাহস করে সত্য কথা বলে যাবো । আল্লাহ ছাড়া আমি কাউকে ভয় করি না, আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবো না। আবদুল কাদের মির্জা, মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা।

কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার স্টাটাসের সত্যতা আছে বলে দাবি করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, চট্রগ্রামের সাবেক মেয়র আজম নাছিরের মাধ্যমে একরামুল করিম চৌধুরী ৩টি একে ৪৭ সেভেনের অর্ডার দেন। পরে ফেনীর মেয়র স্বপন মিয়াজীর মাধ্যমে অস্ত্র গুলো বসুরহাটের ৫জন নেতার কাছে পৌঁছানো হয় তাকে এবং তার ছেলেকে হত্যার জন্য।

এ বিষয়ে উপজেলা আ.লীগ নেতা ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত বলেন, কাদের মির্জার এমন অভিযোগ গুলো হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিত মিথ্যাচার। তার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। রাহাত উল্টো অভিযোগ করেন, কাদের মির্জা পৌরসভার গাড়িতে সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দেয়। সে নিজে পৌর ভবনে অস্ত্রধারীদেরকে সাথে নিযে দীর্ঘ এক মাসের ওপরে পৌরসভায় বসবাস করছে। সে আবারও কোন হত্যাকান্ড ঘটানের পায়তারা চালাচ্ছে। বরং তারই অংশ হিসেবে আগে থেকেই কৌশলে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

(এস/এসপি/মে ০৩, ২০২১)