ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : তীব্র ক্ষরায় ঈশ্বরদীতে এবারে বাঙ্গি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বেশী দামে বিক্রি হওয়ায় ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে যাবে বলে কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। দাম অপেক্ষাকৃত কম হওযায় বাজারে আর সব ফলের চেয়ে বাঙ্গির চাহিদাই এখন বেশী। কম দামের এই ফলই এখন রোজাদারদের ভরসা।

ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীর তীরে সাঁড়া, সাহাপুর এবং লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কাঁকড়ের আবাদ হয়। সাঁড়া ইউনিয়নের মাজদিয়ার ইসলাম পাড়া ও মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় সবচেয়ে বেশী বাঙ্গি উৎপাদন হয়।

এই এলাকার কৃষক মোস্তফা জানান, এবারে বৃষ্টি না হওয়ায় বাঙ্গির ক্ষতি হয়েছে। এক বিঘা জমির কাঁকড় ৩০-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে এবারে কাঁকড় বেশী দামেই বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য বছরে বাঙ্গি ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবারে ২০-১০০ টাকা পর্যন্ত দাম পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষক রেজাউল রোজায় প্রচুর বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে বলেন, ক্ষরায় কারো কারো ক্ষতি হয়েছে। প্রথম দিকে দাম বেশী ছিল, এখন কমে গেছে। তবে রোজাদারদের কাঁকড়েই আকর্ষণ বেশী। তরমুজের দাম বেশী থাকায় গড়মে কমদামে ঠান্ডা এই ফলের দিকে এখন সকলে ঝুঁকে পড়েছে।

বাঙ্গি কিনতে আসা আকছেদ বলেন, বাজারে তরমুজ, কলা, পেঁপে, শশাসহ সব ফলেরই দাম চড়া। এই গড়মে ইফতারে ভাঁজা-পোড়া খেলে সমস্যা হয়। ফলের মধ্যে বাঙ্গির দামই অপেক্ষাকৃত কম। তাই প্রতিদিনই বাঙ্গি কিনছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ জানান, এবারে ঈশ্বরদীতে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে বাঙ্গির আবাদ হয়েছে। ক্ষরায় উৎপাদনে কিছুটা ক্ষতি হলেও চাহিদা বেশী থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছে। উৎপাদনের ঘাটতি এতে পুষিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

(এসকেকে/এসপি/মে ০৪, ২০২১)