পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলারে হামলা ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার দুপুরে পাথরঘাটায় ফিরে আসে এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি ফিরোজ মিয়া। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের এ খবর জানান।

ঘটনার সময় ওই 'মা-বাবার দোযা' নামের মাছ ধরা ট্রলারটিতে হামলা চালায় গভীর সমুদ্রে অপর একটি মাছ ধরা এফভি সালমান-৩ নামে একটি ট্রলিং এর জেলেরা। হামলাকারীরা ১৬জন জেলেকে আহত করে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার জাল, ৫০ হাজার টাকার মাছ সহ অন্যান্য রসদ লুটে নেয় ।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা গভীর সমুদ্র থেকে আজ বুধবার দুপুরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে এসে জানায় এর আগেও অর্থাৎ গত‌ ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার‌ রাত ৯টার দিকে গভীর সমুদ্রে এমন হামলার শিকার হন‌ তারা ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রবিবার (২৫ এপ্রিল) গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যান পাথরঘাটা উপজেলাধীন চরদুয়ানী ইউনিয়নের খলিফারহাট গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মালিকানা এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারসহ ১৬ জেলে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষায় থাকেন জেলেরা। রাত ৯টার দিকে এফভি সালমান-৩ নামে একটি বড় ট্রলিং জাহাজ (ফিশিং ভেসেল) ৫ লাখ টাকার মুল্যের প্রায় ৫ হাজার হাত জাল কেটে মাছ সহ লুটে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ১৬ জন জেলে চিৎকার দিলে জাহাজে থাকা কামোট মাছ গায়ে মেরে আহত করে। এ সময় তাদেরকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি ফিরোজ মিয়া বলেন, আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার জাল ও ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায় জাহাজের জেলেরা। এ সময় আমরা চিৎকার দিলে ওই জাহাজে থাকা বড় বড় কামোট মাছ আমার গায়ে মেরে আহত করে। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন রকমের হমকিও দেয়।

বিষয়টি প্রসঙ্গে কথা বলতে ফিশিং ভেসেল এফভি সালমান-৩ এর মালিক জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ডায়েল করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুরে ঘাটে এসে জেলেরা ঘটনা জানিয়েছেন। আমরা তাৎনিক ওই মালিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা অব্যহত রাখছি। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ট্রলার মালিক সমিতি ও ফিশিং ভেসেল মালিক সমিতির সাথেও যোগাযোগ করেছি।

(এটি/এসপি/মে ০৫, ২০২১)