রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা প্রাচীর ভাঙচুর করে বন্ধ করে দিয়েছে ভবন নির্মাণ কাজ। কালীগঞ্জ থানায় শালিসের মাধ্যমে মাপজরিপ করে মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েও বারবার সময় নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রাম কাশেমপুরের শেখ আলিমুদ্দিনের ছেলে শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শেখ মেহেদী হাসান সুমনের কাছ থেকে বাজারগ্রাম মৌজার হাল ১৫৪৮ দাগের সাড়ে তিন শতক জমি কেনেন তিনি। ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে প্রাচীর দেওয়া ছিল। অপরদিকে ২০০৬ সালে বন্দকাটি গ্রামের টুটুল ও সাগরের কাছ থেকে একই দাগে সোয়া ১৫ শতক জমি কেনেন দুদলী গ্রামের ফয়েজ মীর। ডিপি খতিয়ানে রেকর্ড হয় ১৪ দশমিক ৫৬ শতক।

মনিরুল ইসলাম আরো জানান, জমি কেনার পরপরই তিনি নামপত্তন করে প্রাচীর বেষ্টিত জমিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তার(মনিরুল) জমির মধ্যে জমি দাবি করে ফয়েজ মীর এর স্ত্রী সালেহা বেগম ২৩ এপ্রিল দুপুরে তাকে কাজ বন্ধ করতে বলে। কাজ বন্ধ না করায় সালেহা স্থানীয় মোজাহার হোসেন কান্টুকে বিষয়টি জানান। এ সময় কান্টুর বাড়িকে কর্মরত আট জন নির্মাণ শ্রমিক ও সালেহা হাতে দা, শাবল ও গাইতি নিয়ে জমির পুরাতন প্রাচীর ভেঙে দেয় ও নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করে দেয়। পরে সালেহা কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলে ওইদিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ থানায় আলোচনায় বসলে সালেহা কাগজপত্র দেখাতে না পেরে সময় চান। সালেহার কথা মত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হুসেন তার এক সপ্তাহ সময় দেন।

পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা স্বজল কাজীর সুপারিশে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কথামত উপপরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যেয়ে তাকে কাজ করার অনুমতি দেন। সে অনুযায়ি ২৮ এপ্রিল শ্রমিকরা কাজ করার সমন্সালেহা বেগমের নেতৃত্বে কান্টুর লোকজন এসে আবারো প্রাচীরের কিছু অংশ ভেঙে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় গেলে মাপ জরিপ করার জন্য সময় চাইলে ৭ মে দিন ধার্য করা হয়। অথচ থানা থেকে সময় নিয়ে ফয়েজ মীর ৩ মে কালীগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে দেঃ ৮৭/২১ মামলা করে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। বিচারক বিবাদীপক্ষগণকে ৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাণোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ হেন অবস্থায় তিনি কয়েক লাখ টাকার নির্মাণ সামগ্রী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

জানতে চাইলে দুদলী গ্রামের ফয়েজ মীর জানান, ১৫৪৮ দাগে মনিরুল ইসলাম সম্প্রতি যে সাড়ে তিন শতক জমি কিনেছেন তাতে তার জমি রয়েছে। ফলে মাপ জরিপ করে ভবন নির্মাণ করার জন্য তিনি মনিরুলকে জানালে সে মানেন নি। জমির বিরোধ সংক্রান্ত মীমাংসা থানা করতে পারবে না বিধায় তিনি আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন।

(আরকে/এসপি/মে ০৬, ২০২১)