বিনোদন ডেস্ক : নূর ইসলাম মানিক। সংগীতপ্রেমী এই লোকটির ইচ্ছে ছিলো বড় হয়ে গুনী সংগীতশিল্পী হবেন। বস্তাপঁচা গানের ধারাটাকে বদলে ফেলবেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য আজ তাকেই বদলে দিয়েছে।

অল্প বেতনে, ঢাকার ছোট্ট একটা বেসরকারী ব্যাংকে চাকরি করেন। তবে এত কিছুর পরেও গানকে ফেলতে পারেননি তিনি।

খালি গলাতেই সারাক্ষণ গান চালিয়ে যান। গান তার রক্তের শিরায় শিরায় বইছে। তার বাবাও ছিলেন সংগীতপ্রেমী। যে কোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে একটা গান মানিকের ঠোঁটের অগ্রভাগে রেডি হয়েই থাকে। তাই পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে কণ্ঠে তোলেন ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, শুনেছিলাম গান’।

মানিকের প্রাণের মানুষ লাভলী। কপালগুনে এরকম সুন্দরী একটা মেয়েটাকে বউ হিসেবে পেয়েছেন। সে সুখী, দুপুরে ভাত খাওয়ার পর সিগারেট জ্বালিয়ে বিছানায় শুয়ে পা দোলাতে দোলাতে গুনগুন করে গান করেন ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে... অনেক বেদনাই সয়েছো’।

গান পাগল এক চরিত্র নিয়ে এমন গল্পেই নির্মিত হয়েছে নাটক 'হারানো দিনের গান'। এ নাটকে চলচ্চিত্রের কালজয়ী ৩৯টি গান ব্যবহার করা হয়েছে।

আশরাফুল চঞ্চলের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন ইউসুফ চৌধুরী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল, শাহেদ আলী সুজন, হানিফ পালোয়ানসহ অনেকে।

নির্মাতা ইউসুফ চৌধুরী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের অনেকেই আমাদের চলচ্চিত্রের সোনালী দিনের গানগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। অথচ সেসময় পাড়ায়-মহল্লায়, গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্রই এই গানগুলো শ্রোতাদের নির্মল আনন্দ দিয়েছে। হারানো দিনের গান নাটকের তুলে ধরার উদ্দেশ্য হলো- গল্পের ছলে সেসব গানের একটা সূচীপত্র দর্শক-শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করা।'

নির্মাতা জানান, ‘হারানো দিনের গান’ নাটকটি প্রচার হবে বাংলাভিশনের ঈদে আয়োজনে।

(ওএস/এসপি/মে ০৬, ২০২১)