আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : বাবা-মা হারা এতিম মোবারক মীর। তার আবাসস্থল এখন নানা-নানীরবাড়ীতে। সপ্তম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে সে। কিন্তু নানা-নানীর অভাবের সংসারে তার অন্যান্য ১০জন সহপাঠির মতো পোশাক ছিল না। এলাকার তরুণ সমাজকর্মী এস,এম হেলাল খন্দকার তারলেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। সেই থেকেই ঈদকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার মোবারক মীরেরহাতে ঈদের নতুন পোষাক, খাদ্য সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হলেন হেলাল খন্দকার।

তার জন্য জামা,প্যান্ট, স্যান্ডেল, চিনি, সেমাই, তৈল, ডাল এবং পোলাও চাল এবং দুধ ও মাংস কেনার জন্য নগত টাকা।হাসি ফুটেছে মোবারক মীরের। মোবারক মীর (১২) ছিলেন, নাটোর জেলার হবিদপুর গ্রামেরতাছলিমা বেগম ও মনু মীরের ছেলে। ৭ বৎসর বয়সে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে মা এবং৮ বৎসর বয়সে একই রোগে আক্রান্ত হলে বাবাকে হারায় এতিম মোবারক মীর।

বাবা মাহারানোর পরে কোনো ভাই, বোন, চাচা, ফুপু এবং দাদা না থাকার কারনে বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলারইসলামপুর ইউনিয়নের খালকুলা মধ্যপাড়া গ্রামের নানা তোফাজ্জেল মন্ডলের বাড়ীতে অসহায় ওনিদারুণ কষ্টে জীবন অতিবাহি করছে এতিম মোবারক। নানার বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং নানির বয়স ৬০ বছরের বেশিহওয়ায় দু'জনই কর্মহীন হয়ে পড়াতে ভালো পোষাক পড়াতো দুরের কথা ৩ বেলা সঠিক মতোখাবারও জোটে না এতিম মোবারকের ভাগ্যে। সম্পদ বলতে ১২ শতাংশ জমি, একটি গরু ও ছোটএকটা ভাঙ্গাচোরা দোচালা টিনের ঘর আছে মোবারকের নানার। সরকারি সহায়তার মধ্যে কেবলমাত্রবয়স্ক ভাতা পায় মোবারকের নানা। বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মোবারক।

এ ছাত্রের পাশে দাড়ানো তরুন সমাজকর্মী এস,এম হেলাল খন্দকার বলেন, আমাদের আশপাশে অনেকঅসহায় মানুষ রয়েছে। প্রত্যেককে তাদের পাশে দাড়ানো উচিত বলে মনে করি। এ থেকেই তাকেএকটি সহযোগিতা করছি মাত্র। তার পাশে বিত্তবানরা দাড়াবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।

(একে/এসপি/মে ০৬, ২০২১)