উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : কসবা ও আখাউড়ার মধ্যবর্তী রাজাপুর গ্রামে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। প্রচন্ড সংঘর্ষে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।

কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী ও পাকহানাদার বাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকসেনাদের ৫ জন নিহত ও একটি বাঙ্কার বিধ্বস্ত হয়।

মৌলভীবাজার মহকুমা সদরের ১৫ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরের রাজনগর থানার পাঁচগাঁও নামক হিন্দু প্রধান গ্রামে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় পাকসেনারা হানা দেয়। নরঘাতক পশুরদল গ্রামের লোকজনদের ধরে এন হাত-পা বেঁধে একটি পুকুরে জীবিত অবস্থায় ফেলে দেয়। অসহায় মানুষগুলো যখন একটুকু নিঃশ্বাসের জন্যে কাতর ঠিক তখনই মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণে আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করে দেয় বর্বররা। এ হত্যাযজ্ঞে ৫৯ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়।

নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী খান বাহাদুর সৈয়দ মোহাম্মদ আফজালকে প্রদান করে পিরোজপুর মহকুমা শান্তি কমিটি গঠন করা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এয়ার মার্শাল সুতোপো গভর্নর টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে গভর্নরকে তিনি পাকিস্তানের প্রতি তাঁর সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলে জানান।

পশ্চিম পাকিস্তানের খারুন জেলার জামায়াতে ইসলামীর নেতারা এক সভায় মিলিত হযে বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের তীব্র ভাষায় নিন্দা করে। সভায় আন্দোলনকারীদের হিন্দু কমিউনিস্ট, সাম্প্রদায়িক, নাস্তিক ও পাকিস্তান-বিরোধী বলে উল্লেখ করা হয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে এক প্রেসনোটে বলা হয়, “গত ২৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের সংবাদপত্রগুলো প্রকৃতপক্ষে সম্পূর্ণ বাক-স্বাধীনতা ভোগ করছিল। ঐ সময় থেকে দেশে এক উদ্বেগজনক জরুরি অবস্থার উদ্ভব ঘটে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যায়। জাতি আজ এক মহাসঙ্কটে পড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি রোধের উদ্দেশ্যে সরকার ৭৭ নং সামরিক বিধি জারি করেছেন। এতে পাকিস্তানের সংহতির পক্ষে ক্ষতিকর এবং জনগণের মধ্যে ভীতি বা হতাশা সৃষ্টি অথবা বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করবে-এমন কিছু ছাপা বা প্রকাশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবাদপত্রগুলোকে অক্ষরে অক্ষরে এ বিধি মেনে চলতে হবে। সংবাদ প্রকাশের আগে এ বিধি মোতাবেক নিয়োজিত সেন্সর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তা বৈধ করিয়ে নিতে হবে। এ বিধি লঙ্ঘন করলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে।”

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

(ওএস/এএস/পিএস/অ/মে ০৭, ২০২১)