পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটার হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্র মিন্টু এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম তার ঘেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষ দিয়ে মাছ মারার এ মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। 

হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্র মিন্টু বলেন, বিদ্যালয় মাঠে গবাদি পশু চড়াতে নিষেধ ও স্থানীয় একটি কালভার্ট নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসিন্দা নুরুল ইসলাম মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। নুরুল ইসলামের ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মারার ঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।

স্থানীয়রা জানান, হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে দুবলাঘাস লাগানো হয়েছে। এ ঘাস সংরক্ষণের জন্য বিদ্যালয় মাঠে সর্বসাধারণের জন্য গবাদিপশু চরাতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় নুরুল ইসলাম তার ছাগলসহ গবাদিপশু নিষেধ উপেক্ষা করে ওই মাঠের দুবলা ঘাস নষ্ট করছেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্রের বাড়ির পিছনে একটি কালভার্ট নিয়ে নুরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ কালভার্ট ও বিদ্যালয় মাঠে গরু চড়ানকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার মিত্র মিন্টু স্যারের বিরুদ্ধে নুরুল ইসলামের ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মারার মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মিন্টু স্যারকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসাতে বিষ দিয়ে মাছ মারার নাটক সাজানো হয়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা মিলন বলেন, পাথরঘাটা উপজেলার মধ্যে উৎপল কুমার মিত্র স্যার সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন প্রধান শিক্ষক। তিনি কারো বিরুদ্ধে কখনো শত্রুতায় জড়িয়েছেন এমন কথা শিক্ষক সমাজসহ এলাকাবাসী বলতে পারবে না। কিন্তু সেই স্যারের বিরুদ্ধে বিষ দিয়ে মাছ মারার এ অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

অভিযোগ প্রসঙ্গে নুরুল ইসলাম বলেন, মিন্টু স্যারের নির্দেশে স্থানীয় বিকাশ চন্দ্র মিত্র আমার এ ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরেছে। মিন্টু স্যারের সাথে আমার দ্বন্দ্ব থাকায় তিনি এ কাজ করেছেন।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি সরোজমিনে ওই ঘেরটি পরিদর্শন করেছি তবে প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। আর ওই ঘেরে বিষ প্রয়োগ করা হলে বর্তমান ঘেরে যে মাছ আছে তা সুস্থ থাকার কথা নয়। কিন্তু ঘেরের মাছ সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে।

(এটি/এসপি/মে ০৮, ২০২১)