উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : ৭ মার্চ শুক্রবার ছিলো জুমাতুল বিদা তথা এবারের রমজানের শেষ জুমা। এই জুমাতুল বিদার নামাজ আদায়ের জন্যে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে অসংখ্য মুসল্লির সমাগম ঘটে। এখানে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা মহান রাব্বুল আলামীনের করুণা পেতে যে যার মতো অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ক্ষমা চেয়ে কেঁদেছেন। মুসল্লিসহ ইমামের কান্নায় পুরো হাজীগঞ্জ বাজারের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। 

করোনা থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর রহমত চেয়ে বিশেষ দোয়া করা হয়। মসজিদে খুৎবা পাঠ ও নামাজ পড়ান মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা আঃ রউফ। সার্বিক ব্যবস্থপনায় ছিলেন আহমাদ আলী পাটওয়ারী ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লি অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।

সরজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার মধ্যে মসজিদের ভেতরের অংশ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে মসজিদের দোতলা, সামনের সুবিশাল মাঠ, পাশের ভবনসমূহসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটের ফ্লোর ও ছাদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। খুৎবা শুরু হওয়ার সাথে সাথে রোদের খরতাপ উপেক্ষা করে শত শত মুসল্লি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাজার অংশে সড়কের উপর বসে পড়ে। তখন সড়কের এ অংশ দিয়ে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে সকাল ১০টা থেকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাসহ সঙ্গীয় ফোর্স বাজারের ফুটপাত থেকে সকল হকার সরিয়ে দেয়।

মুসল্লিগণ যাতে কোনো ধরনের ঝুট-ঝামেলা ছাড়া নামাজ আদায় করতে পারেন এজন্যে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়।মুসল্লিদের নিরাপত্তায় হাজীগঞ্জ পৌরসভাসহ প্রায় ২০টি স্বেচ্ছাসেবক প্রতিষ্ঠান কাজ করে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেশ ক’টি অস্থায়ী অজুখানা বসিয়ে দেয় মুসল্লিদের জন্যে। মসজিদের স্থায়ী অজুখানার পাশাপাশি মুসল্লিরা এই সকল অস্থায়ী অজুখানায় অজু করে নামাজে অংশ নেন।

(ইউ/এসপি/মে ০৮, ২০২১)