আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তানের কাবুলে একটি স্কুলের কাছে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত দেড়শো জন। রোববার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। আহতদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চল দস্ত-ই-বার্চি অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নিহতদের মধ্যে ৭/৮ জন ছাড়া সকলেই ছাত্রী যারা স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

মর্গ থেকে এখনও মরদেহ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রথম দাফন ইতোমধ্যে শহরের পশ্চিমাঞ্চলে সম্পন্ন হয়েছে।

কিছু পরিবার এখনও তাদের স্বজনদের খোঁজ করছেন। হাসপাতালের দেয়ালে লাগানো তালিকা দেখে মর্গে খোঁজ করছেন তারা।

ওয়াশিংটন গত মাসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কাবুলে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা চলছে। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পর থেকে তালেবানরা দেশব্যাপী হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে।

কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শিয়াদের ওপর ইসলামিক স্টেট (আইএস) অতীতে বহুবার হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে শনিবারের এই হামলার অঞ্চলে আইএস এর আগে একাধিকবার হামলা করেছে।

তালেবান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এর পেছনে তারা দায়ী নয় বলেও দাবি করেছে।

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি এই হামলার জন্য তালেবানদের দায়ী করেছেন। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি তিনি।

গনি তার বিবৃতিতে বলেন, ‘তালেবানরা তাদের অবৈধ যুদ্ধ ও সহিংসতা বাড়িয়ে আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা কেবল শান্তিপূর্ণ ও মৌলিকভাবে বর্তমান সঙ্কট সমাধান করতে অনিচ্ছুকই নয়, বরং পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।’

(ওএস/এসপি/মে ০৯, ২০২১)