রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা সদরের তুজুলপুর গ্রামে পুরুষ শূন্য বাড়িতে মহিলাদের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তুজুলপুর গ্রামের আব্দুল বারী সরদারের ছেলে নুরুল আমিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই সাতক্ষীরা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামীরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজুলপুর গ্রামের আফতাব মোল্লার চেলে মহরম মোল্লা, তার ছেলে ইমরান নিজ্মাী ও একই গ্রামের মুনসুরের চেলে আবু হুরাইরা।

তুজুলপুর গ্রামের নুরুল আমিন জানান, তাদের প্রতিবেশি মহরম আলী মোল্লার সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ৩ মে সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে কোন পুরুষ সদস্য না থাকার সূযোগে তাদের বাড়ির সামনে আসিয়া মহিলাদের উদ্দেশ্য করিয়া মহরম মোল্লা, ইমরান ও আবু হুরাইরাসহ কয়েকজন গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করায় মহরম বাড়ির মধ্যে ঢুকে মেয়ে সুফিয়া, পুত্রবধু হোসেনে আরা খাতুন ও ভাবী মাহমুদা খাতুনকে কিল, চড় ও ঘুষি মেরে আহত করে। খবর পেয়ে কয়েকজন নারী ছুঁটে এসে মহরমকে ঘিরে ফেলে। কিছুক্ষণ পর একই গ্রামের আবু তালেবের ছেলে মনিরুল ইসলাম গ্রাম্য শালিসে মীমাংসার কথা বলে মহরমকে নিয়ে যায়।

আহত সুফিয়া , হোসনে আরা ও মাহমুদাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি মহরমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় ১৮৮ নং সাধারণ ডায়েরী করেন। উপপরিদর্শক শিমুল হালাদার তদন্তে এসে ঘটনার সত্যতা পান। এ ঘটনায় মহরম পুলিশকে ম্যানেজ করে মিথ্যা মামলাকরে তাকেসহ ১১জনকে আসামী করে। তিনি এজাহার দিলেও থানা মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে তিনি মঙ্গলবার আদালতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নুরুল আমিনের অভিযোগটি তিনি তদন্ত করে বিষয়টি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন। আসামী হিসেবে নির্দোষ ব্যক্তির নাম থাকায় মামলা রেকর্ড হয়নি।

(আরকে/এসপি/মে ১১, ২০২১)