আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাম্প্রতিক উত্তেজনার জেরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে দ্বিতীয়বার ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর তার সঙ্গে আলাপের পরপরই ফিলিস্তিনি ভূমিতে আক্রমণ জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি সরকারপ্রধান। খবর ডয়েচে ভেলের।

বাইডেন বলেছেন, তার প্রশাসন এমন একটি অবস্থানে যেতে চায়, যেখানে আক্রমণ উল্লেখযোগ্য কমে যাবে। বিশেষ করে ‘জনবহুল এলাকা লক্ষ্য করে নির্বিচারে রকেট হামলা’ কমতে হবে।

এর আগে, গত বুধবারও নেতানিয়াহুর কাছে ফোন করে ইসরায়েলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। বলেছিলেন, এ অঞ্চলে খুব দ্রুত সহিংসতার অবসান হবে বলে আশা করছেন তিনি।

ইসরায়েলিদের সমর্থন জানিয়ে সেদিন তিনি বলেছিলেন, হাজার হাজার রকেট ছোড়া হলে তা থেকে আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের। অথচ ইসরায়েলের আক্রমণে শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনির মৃত্যু নিয়ে টুঁ শব্দ নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে!

বাইডেনের সঙ্গে দু’বার ফোনে কথা বলার পর শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় ‘যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ’ হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবে ইসরায়েল। অবশ্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উপত্যকায় আকাশপথের পাশাপাশি স্থল আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।

আল জাজিরার খবর অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলি হানায় গত কয়েকদিনে হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছেন অন্তত ১১৯ ফিলিস্তিনি। বাদ যায়নি কোমলমতি শিশুরাও। ইসরায়েলিদের আক্রমণে অন্তত ৩১টি শিশু মারা গেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৮৩০ ফিলিস্তিনি।

শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিক্ষোভ দমনেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। সহিংসতার অভিযোগ তুলে তাদের দমনে রাস্তায় সেনা নামানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। এমনকি ফিলিস্তিনিদের ঠেকাতে বাড়তি ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ইসরায়েলি সংসদে প্রস্তাবও উত্থাপন করতে চলেছেন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এ নেতা। ডয়েচে ভেলে, জেরুজালেম পোস্ট।

(ওএস/এসপি/মে ১৪, ২০২১)