স্টাফ রিপোর্টার : আজ বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস। ১৯৬৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে নিরবিচ্ছিন্ন, সহজলভ্য ইন্টারনেট ও ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সোমাবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আসুন আমরা টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি সেবা নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করি। এসেবা সর্বোচ্চ ব্যবহারের মধ্যে আমরা নিজেদের ও দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করে যাব। এ সেবার অপব্যবহার রোধ করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

একই সাথে সরকারের প্রতি তিনি বিনীত আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ খাত শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত মানের ডিভাইস, সহজলভ্য নিরবিচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের ৫২ বৎসর পূর্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ১২ বছর পূর্তিতেও বিশ্বে ৩.৭ বিলিয়ান অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ডিজিটাল বাংলাদেশের এক যুগেও বাংলাদেশের গ্রাহক ১৭কোটি ৪৬ লাখ ২৭হাজার। এর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১১ কোটি ২৭ লাখ ১৫ হাজার। এখানেও বর্তমান জনগোষ্ঠীর অর্ধেক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে রয়েছে এখনো ৫৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী।

এ সেবার ধীরগতি উচ্চমূল্য ও নিরাপত্তা গ্রাহকদেরকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে ফেলছে। গ্রাহকের অজান্তে অর্থ লুটপাট, আইন ও সংবিধান অমান্য করে গ্রাহকের তথ্য চুরি ও প্রকাশ। নানাবিধ সংকট গ্রাহকদেরকে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে একথা দিবালোকের মত সত্য। তবুও করণা মহামারীর মধ্যে জীবন-জীবিকা,দেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও পারিবারিক যোগাযোগ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, লকডাউন এর মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি প্রদান করেছেন- যোগ করেন তিনি।

(এম/এসপি/মে ১৭, ২০২১)