আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : দেশের অন্যতম নৌরুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাট দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের ঢাকাগামি প্রবেশ দাড় হওয়ায় প্রায় সব সময় ভীড় লেগেই থাকে। তবে ঈদে বাড়ি আসা যাত্রীদের পুনরায় কর্মস্থলে ফেরার কারণে কিছুটা চাপ লক্ষ করা গেছে।তবে চাপ বাড়লেও নদী পার হতে কোন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছেনা তাদের।

সোমবার (১৭ মে) সরেজমিন সকাল ১১টায় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা ঘুড়ে দেখা যায়, সকাল থেকে কিছুটা চাপ রয়েছে মানুষের। তবে সেটা স্বাভাবিক। ঘাটে আসার পর দ্রুতই তারা ফেরির দেখা পাচ্ছে এমনকি ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হয়ে ছুটি শেষে সকলের গন্তব্যে পৌছাচ্ছে।

যাত্রীরা ফেরির দেখা পেলেও তাদের মধ্যে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি। সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ। একে অপরের সাথে গাদাগাদি করেই ফেরিতে পার হচ্ছে যাত্রীরা। স্বাস্থ্যবিধি নজরদারি রাখতে ঘাট এলাকায় প্রশাসনেরও দেখা যায়নি।

কর্মস্থল গামী যাত্রীরা বলেন, ঈদের আগে যেভাবে বাড়ি এসেছিলাম তা ছিল খুবই কষ্টের। কিন্তু এখন ঢাকা ফেরার সময় তেমন একটা ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। ঘাটে এসেই ফেরিতে উঠে পড়েছি। কিন্তুু দূরপাল্লার যানবাহন না থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে আমাদের গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

অনেক যাত্রী আবার বলেন গন পরিবহন না থাকায় বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই সাথে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে তিন চাকার গাড়িতেই আসতে হচ্ছে।

মাহেন্দ্র ড্রাইভারদের অভিযোগ আসলে যাত্রী নিয়ে ঘাটে আসছি পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে তবে ফিরতে হচ্ছে বেশির ভাগ সময় খালি গাড়ি নিয়ে, এ জন্য ভাড়া বেশি নিতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ বলেন, ঈদ শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘাট এলাকা স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীদের জনস্রোত বা চাপ তেমন একটা নেই। সকাল থেকে কিছুটা যাত্রীর চাপ বাড়লেও ঘাটে কোন ভোগান্তি নেই।

তিনি আরো বলেন, জরুরি সেবা কাঁচা মাল বাহী ট্রাক, আ্যাম্বুলেন্স সহ যাত্রী পারাপারে কোন ভোগান্তি যেন না হয় সেজন্য বর্তমানে এই নৌরুটে ১৬ টি ফেরি চলছে।

(ওএস/এসপি/মে ১৭, ২০২১)