আবু নাসের হুসাইন, সালথা : পেঁয়াজের রাজধানী ফরিদপুরের সালথায় এবছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষিরা। পেঁয়াজ উত্তোলন মৌসুম থেকে এ পর্যন্ত পেঁয়াজের মূল্যে কম থাকায় হতাশায় রয়েছেন চাষিরা। 

জানা যায়, সালথা উপজেলা দেশের মধ্যে পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। সালথা উপজেলাকে পেঁয়াজের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। উপজেলার মোট আয়তন ১৮৫.১২ বর্গ কিলোমিটার। আবাদী জমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৪৪২ হেক্টর। এবার উপজেলায় ১২ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিলো। রমজানের আগেই পেঁয়াজ উত্তোলন কাজ শেষ হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৫ মে:টন পেঁয়াজ উৎপাদণ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।

পেঁয়াজ উত্তোলণের সময়ে প্রতিমন পেঁয়াজের বাজার মূল্যে ছিলো ৮শ টাকা থেকে ১হাজার টাকা। বর্তমানে প্রতিমণ পেঁয়াজের মূল্যে ১৩শ টাকা থেকে ১৩শ ৩০ টাকা। নিজস্ব জমিতে প্রতিমন পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ হয় ১২শ টাকা থেকে ১৩শ টাকা। বর্গা চাষীদের প্রতিমণ পেঁয়াজ উৎপাদণ খরচ হয়েছে ১৯শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। বর্গা চাষীদের পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমির মালিককে একটি অংশ দিতে হয়। সেজন্য বর্গা চাষীদের প্রতিমন পেয়াজ উৎপাদণে খরচ বেশি বলে পেঁয়াজ চাষীরা জানিয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার উপজেলার বালিয়া গট্টি পেঁয়াজ বাজারে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ বস্তায় ভরে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এসময় এক ব্যবসায়ী জানান, ১৩ টাকা থেকে সাড়ে ১৩শ টাকা করে প্রতিমণ পেঁয়াজ কিনেছি। পেঁয়াজের দাম একটু কম থাকায় বাজারে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে কম। এখনো কৃষকের ঘরে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। দাম একটু বাড়লে চাষীদের সুবিধা হতো। সেই সাথে বাজারে পেঁয়াজের আমদানী বেশি হতো।

বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা দুই পেঁয়াজ চাষী বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম তাতে কৃষকরা লোকসানে আছে। তাই বাজারে পেঁয়াজ সহজেই বিক্রি করতে আনছেন না। দাম একটু বাড়লে কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদণ খরচ সমান সমান হতো। এছাড়াও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী না করার দাবীও জানান কৃষকরা।

(এন/এসপি/মে ২২, ২০২১)