মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : বৃষ্টি মানেই চায়ের রাজ্যে সুদিনের বার্তা বহন করলেও বর্তমানে মৌলভীবাজারের চাবাগান গুলোতে বৃষ্টির জন্য চলছে হাহাকার অবস্থা। সাভাবিক বৃষ্টি হলে চায়ের নতুন কুঁড়ি গজায় তাই এর সাথে বাড়ে চায়ের উৎপাদনও। বর্তমানে চাবাগান গুলোতে উৎপাদন মৌসুম চলছে। আর একসাপ্তাহ যাবত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে সঙ্কটে বাগান কর্তৃপক্ষ। সারা দেশের মতো মৌলভীবাজার জেলা জুড়ে বৃষ্টির দেখা নেই প্রায় এক সাপ্তাহ যাবত, প্রচন্ড তাপদাহে এখানকার জনজীবন প্রায় বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে।

জেলার সর্বমোট ৯২টি চাবাগানের মধ্যে অধিকাংশ চাবাগানের অবস্থান শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। এই উপজেলার চাবাগান গুলোতে বৃষ্টি না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে পাতা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে সামগ্রীক উৎপাদনে। এ পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় চাবাগান কর্তৃপক্ষ। তবে ভ্যবসা গরম উপেক্ষা করে শ্রমিকরা সকাল থেকে চায়ের পাতা সংগ্রহে কাজে যোগ দিলেও প্রচন্ড খরার কারনে বেশ দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে, মিলছেনা আগের মতো পাতাও।

জানা যায়, মে মাসের প্রথম দিকে কিছুটা বৃষ্টি হলেও ১৫ তারিখের পর আর দেখা মেলেনি বৃষ্টির। এর পর থেকে সময়ে সময়ে বাড়তে থাকে তাপদাহ। এতে করে নতুন করে পাতা তো গজাচ্ছেনা, উল্টো অতিখরায় শুকিয়ে যাচ্ছে চায়ের পাতা। পাশাপাশি মাটির আদ্রতা কমে যাওয়ায় পাতা গজানো কমে গেছে।

শ্রীমঙ্গলের নাহার চা বাগানের ব্যবস্থাপক (জিএম) পীযূষ ভট্র্যাচার্য্য জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারনে পাতা মরে যাচ্ছে, নতুন করে কুঁিড়ও গজাচ্ছেনা। আর এক সাপ্তাহ যাবত উৎপাদনও মারাত্মকভাবে কমে গেছে। তিনি বলেন, পাতা তুলনা মূলক কম সংগ্রহ করায় অনেক সময় ফেক্টরী চালু রাখা সম্ভব হয়না।

শ্রীমঙ্গলের ইস্পাহানী কোম্পানীর মালিকানাধীন জেরিন চাবাগানের ব্যবস্থাপক সেলিম আহমেদ জানান,অতি খরায় কমে গেছে চায়ের সাভাবিক উৎপাদন। তিনি বলেন, তাপদাহ বাড়তে থাকায় শ্রমিকদের মধ্যে বাড়ছে রোগ বালাই।

এদিকে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়,আজ সোমবার (২ মে) শ্রীমঙ্গলে সর্বশেষ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্য মোঃ আনিসুর রহমান জানান,সাগরে নি¤œচাপের কারনে কাল দু’একদিনের মধ্যেই বৃষ্টি হবে,ইতি মধ্যে দেশের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

(একে/এসপি/মে ২৪, ২০২১)