মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : সরকারের আসন্ন বাজেটে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে মৌলভীবাজারে মানবন্ধনকরেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।  

শুক্রবার ( ২৮ মে) বিকাল ৫ টার দিকে মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনা চত্বরে বাজেটকে সামনে রেখে শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এই 'মানববন্ধনের আয়োজন করে ।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট আবুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ও চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহাত আহমেদ, চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সদস্য বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী, শ্রমিক ফ্রন্ট জেলা সংগঠক লিটন সুত্রধর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, করোনাকালে দেশের সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈষম্যের মাত্রা বেড়েছে। কয়েক হাজার মানুষ কোটিপতি হওয়ার বিপরীতে কোটি-কোটি মানুষ দরিদ্র থেকে অতি দরিদ্রে পরিণত হচ্ছে। এই শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষেরা রাষ্ট্রের খরচের অধিকাংশ যোগান দেয়। গতবছর দেশের মোট রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশের বেশী এসেছে ভ্যাট আর আমদানী শুল্ক থেকে যার দায় চুড়ান্ত ভাবে ভোক্তা অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ট দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের উপর পরে।

নেতৃবৃন্দ, করোনা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমজীবীদের জন্য বিশেষত মোট শ্রম শক্তির ৮৫ শতাংশ পর্যটন, হোটেল- রেষ্টুরেন্ট, নির্মাণ, তাঁত, পাদুকা, কুলি, পরিবহন, হালকাযানবাহন চালকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিতক খাতের শ্রমিক এবং বিদেশ প্রত্যাগত শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রিয় উদ্যোগে কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা ও অর্থ সহায়তার জন্য বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ করার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়ে শ্রমিকদের জন্য আর্মি রেটে রেশন, শ্রমিকঘন অঞ্চলে চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং সার্বজনীন পেনশন চালু করার দাবি জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের উন্নয়নে ব্যায় করা হলে তা বিনিয়োগে পরিণত হয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ফিরে আসবে। আর মালিকদের কে প্রদত্ত অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে লন্ডন-কানাডা-আমেরিকায় বেগম পাড়া গড়ে উঠবে।

বাজেটে অর্থ বরাদ্দের চিত্রই বলে দেবে সরকার দেশের মানব সম্পদের উন্নতি না কি লুটেরা-পাচারকারীদের উৎসাহিত করতে চায়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের এক বিরাট জনগোষ্ঠী চা উৎপাদনেও কারোনাকালীন সময়ে তাদের শ্রমে-ঘামে এই সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তাই আসন্ন বাজেট চা শ্রমিকের নূন্যতম দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকাসহ বাজেটে চা শ্রমিকদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নকল্পে থোক বরাদ্দ করতে হবে।

(একে/এসপি/মে ২৯, ২০২১)