এমডি অভি, নারায়ণগঞ্জ : ঢাকার আশুলিয়ায় বোনের বাসা থেকে ফেরার পথে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের এক নারী পোশাক কর্মী (২২)। এই অভিযোগে শনিবার (২৯ মে) সকালে ভুক্তভোগী সেই নারী থানায় মামলা করেছেন।

এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে বাস চালকের সহকারী মনোয়ার (২৪) নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ধামগড় এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা হলেন, ঢাকার তুরাগ থানার গুলবাগ ইন্দ্রপুর ভাসমান গ্রামের মো. আরিয়ান (১৮), কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনা এলাকার সাজু (২০), বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাটিয়ামারি এলাকার সুমন (২৪) ও একই এলকার সোহাগ (২৫) এবং বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৪০)। তারা সবাই আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল-নবীনগর মহাসড়কে মিনিবাস চালাতেন।

ভুক্তভোগী পোশাক কর্মী নারায়ণগঞ্জে স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন। তিনি একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। তাদের বাড়ি লালমনিরহাটে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর বোন মানিকগঞ্জে থাকেন। গতকাল শুক্রবার তিনি বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে নারায়ণগঞ্জে নিজের বাসায় ফেরার জন্য তিনি বাসে ওঠেন। রাত আটটার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাসের জন্য তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত নয়টার দিকে নিউ গ্রামবাংলা পরিবহনের একটি মিনিবাসের চালকের সহকারী মনোয়ার ও সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম এসে টঙ্গী স্টেশন রোডের কথা বলে তাঁর কাছে ৩৫ টাকা ভাড়া চান। তিনি মিনিবাসে উঠলে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। চালক বাসটি নিয়ে আবার নবীনগরের দিকে রওনা হন। এ সময় বাসের জানালা ও দরজা আটকে বাসের চালক, সহকারীসহ ছয়জন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই ছয়জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আজ সকালে ভুক্তভোগী তরুণী ওই ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

(এ/এসপি/মে ২৯, ২০২১)