চাঁদপুর প্রতিনিধি : আড়াইশ’ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বিকেল থেকে পড়েছিল এক নারীর লাশ। ২৯ শে মে শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায়ও এ লাশটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই নারীর নাম সুমি আক্তার (২৮)। তার মাতার নাম সালমা বেগম। তিনি হাজীগঞ্জের তারাপাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। ওই নারী ফুড পয়জনিংয়ে মারা গেছেন।

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার রায়হান মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই রোগী মারা গেছেন। তবে রোগীর সাথের স্বজনরা আমাদের বিষ খেয়েছেন বলে জানিয়েছে। তাই রেজিস্টার্ড খাতায় ফুড পয়জনিং শব্দটি লেখা রয়েছে। পরে আমরা লাশটির ময়না তদন্তের জন্য পুলিশকে জানিয়েছি।

নিহত সুমিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা আক্কাছ নামে একজন প্রতিবেশী জানান, সুমি আক্তারের স্বামী নুরে আলম। বিষ খেয়েছে বলে তার স্বামী জানিয়েছে। তার ২টি সন্তান রয়েছে। সুমির শ^শুর হচ্ছেন মতলব পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ঢালী বাড়ির কামাল মিয়া। তাকে সেখান থেকে তার স্বামীসহ অন্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এদিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে সুমির লাশ নিয়ে নানা মন্তব্য চাউর হয়েছে। অনেকেই বলছে, সুমি আক্তার নামের এই নারীকে তার স্বামী ও শশুর পারিবারিক কলহের কারণে পিটিয়ে সবাই মিলে বিষ খাইয়েছে। পরে শেষ প্রান্তে এসে সুমিকে বাঁচাতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এরপরে সুমিকে ডাক্তার মৃত বলায় এই লাশ রেখেই সুমীর স্বামীসহ যারা এসেছিলো তারা দ্রুত হাসপাতাল থেকে সটকে পড়েন।

এদিকে খবর পেয়ে লাশটি সরজমিনে দেখতে আসেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন। তিনি জানান, নারীর এই লাশটি মতলব দক্ষিণ থানার আওতাধীন। তাই আইনগত সবকিছু দেখবে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ। আমি সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে নিয়ে যেতে এসেছি।

তাৎক্ষণিক সুমির বাবার পরিবার বা তার স্বামীর পরিবারের কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় প্রকৃত ঘটনা প্রসঙ্গে কোনো রূপ বক্তব্য জানা যায়নি।

সন্দেহজনক এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতনমহল।

(ইউ/এসপি/মে ৩০, ২০২১)