মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সমুদ্রগামী ট্রলার মালিক ও মাঝিদের মৎস্য শিকার ও প্রক্রিয়াজাত বিষয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের তালিকায় অনিয়ম ও ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন সময়ে মাছ ধরার সুবিধা দেয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করায় কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শতাধিক ট্রলার মালিক এবং মাঝিদের উপস্থিতিতে আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মৎস্য কর্মকর্তার শাস্তির দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তবে মৎস্য কর্মকর্তা এ ঘুষ চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এবং প্রশিক্ষণ তালিকায় কোন অনিয়ম করা হয়নি। জেলে ও ট্রলার মালিকদের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের কারনে বাধ্য হয়ে দুইদিনের প্রশিক্ষণ স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন।

জানাযায়, কলাপাড়ার আলীপুরে বিএফডিসি কনফারেন্স কক্ষে আজ দুপুরে সমুদ্রগামী ৫০জন ট্রলার মালিক ও মাঝিদের মৎস্য শিকার ও প্রক্রিয়াজাত বিষয়ে দুই দিনের প্রশিক্ষনের আয়োজন করে মৎস্য বিভাগ। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে এ তালিকা নেয় হয়। তবে প্রশিক্ষণে বিভিন্ন এলাকার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে উপস্থিত হলে মৎস্য কর্মকর্তার সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম স্থগিত করে মৎস্য কর্মকর্তা স্থান ত্যাগ করেন। এতে বিক্ষুব্ধ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করে বক্তব্য দেন ট্রলার মালিক সাখাওয়াত হোসেন, ইউসুফ মাঝি প্রমুখ।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা মুঠোফোনে জানান, জেলে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বন্ধের কারনে প্রশিক্ষণে একাধিক প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে প্রশিক্ষন স্থগিত করেছেন। এখন তাকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করছে। যেহেতু সাগর ও নদী মোহনায় সরকারি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে তাই অর্থ নিয়ে মাছ ধরতে সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

(এমকেআর/এসপি/জুন ০৯, ২০২১)