স্টাফ রিপোর্টার : হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার পর সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে আগের মতোই চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে সবধরনের সবজি। সেই সঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, যে কারণে দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে দাম বেড়ে কেজি ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এখন খুচরায় ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

রামপুরার ব্যবসায়ী মো. সালাম শেখ বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী গৌতম বলেন, ভারত থেকে আসা বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যায়। সেই সঙ্গে ফরিদপুরের বাজারেও দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কম ছিল। যে কারণে হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ অনেকটাই ঠিক হয়ে গেছে। যে কারণে দাম কমেছে।

এদিকে ব্রয়লার, সোনালী ও লাল লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা।

মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জহিরুল বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে হেরফের হয়নি। এখন সোনালী মুরগি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের ধারণা আর বেশিদিন এই অবস্থা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে সোনালী মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে শসা, বেগুন, পটল, ঢেড়সের দাম। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢেড়সের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাঁজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল বলেন, প্রতিবছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। শীতের সবজি আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম বরং সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

(ওএস/এসপি/জুন ১১, ২০২১)