ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ওমান প্রবাসী মো.কামাল উদ্দিন (৩৩) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুই আসামীকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দক্ষিণ চরকাজী মোখলেস গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার (১১জুন) দুপুর ১টার দিকে আটক দুই আসামীকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরকাজী মোখলেস গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৮) ও তার ভাই আবুল কালাম (৪৫)।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, আটককৃত আসামীদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেস গ্রামের মালেকের দোকান নামক স্থানে বেলায়েত সর্দারের দোকানে বসে কামাল উদ্দিন চা খাচ্ছিল। ওই সময় একই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী মৃত সফি মিয়ার ছেলে মোঃ মাইন উদ্দিন , মো.রফিক, মো.ইসমাইল, ছায়েদুল হক ছাদু ওরপে ছাদু নেতার ছেলে জসিম উদ্দিন তুষার, আহসান উল্লাহ, রুহুল আমিনের পুত্র আবুল কালাম, সেলিমের পুত্র মাসুদের নেতৃত্বে কামালের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় হামলাকারী মাসুদ, মাইন উদ্দিন, রফিক, তুষার নিজ হাতে কামাল উদ্দিনের মাথায় উপর্যুপরি রামদা দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন সন্ত্রাসীরা মালেকের একটি পা কুপিয়ে গুরুত্বর ভাবে জখম করে।

এসময় চিহ্নিত সন্ত্রাসী রফিক একটি স্ক্রু দিয়ে কামালের চোখে প্রচন্ড আঘাত করে। এসময় স্থানীয় বাসিন্ধা কালু মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা, এসময় তার একটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে কামালের আত্মীয় স্বজন খবর পেয়ে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা কামালের একটি মোটর সাইকেলকেও ভাঙচুর করে তারা। সে চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেস গ্রামের ওবায়দুল হকের ছেলে এবং ২ সন্তানের জনক ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে আগে কামালের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুর রহীম, ও মাসুদের নির্দেশে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন নিহতের ভাই বেলাল।

(এস/এসপি/জুন ১১, ২০২১)