শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর :  দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের রেললাইনে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বিকলের কারণে অল্পর জন্যে প্রাণে বেঁচে গেলো ট্রেনের কয়েক'শ যাত্রী।

 

আজ রোববার বেলা ১২টা ০৭ মিনিটে হিলি স্থলবন্দরের চেকপোস্ট এলাকাররেললাইন অতিক্রমকাল এ ঘটনা ঘটে।ৎ

ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে দ্রুতযান পঞ্চগড় ছাড়ে। দিনাজপুর-পার্বতীপুর-বিরামপুর হয়ে হিলি রেলওয়ে পৌঁছাতে মাত্র দুই মিনিট বাকি।এরই মধ্যে চেকপোস্ট রেললাইনে বিকল হয়ে যায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। মহাবিপাকে পড়ে সকলেই।

রেল গেটম্যান গোলাম মোস্তফা জানান,পঞ্চগড় থেকে ছড় আসা দ্রুতযান ট্রনটি হিলি রেলওয় স্টেশনে প্রবেশের আগমূর্হুত ভারত থক পণ্য বাঝাই একটি ট্রাক লাইনের উপর বিকল হয় যায়। এসময় চেকপাস্ট এলাকায় কর্মরত সিএন্ডএফর কর্মচারী হান্নান লাল পতাকা তুলল দূর্ঘটনা কবল এলাকা থেকে ২'শ গজ দূর ট্রনটি থামত সক্ষম হয়। লাইনের উপর থেকে অন্য একটি ট্রাক দিয় বিকল ট্রাকটিক সড়ানোর পর ট্রেনটি সেখানে ৫ মিনিট অপক্ষার পর আবারো ঢাকার উদ্দ্যশ ছেড়ে যায়। এতে প্রাণ বেঁচে যায় ট্রেনে থাকা কয়েক'শ যাত্রী'র।

প্রসঙ্গতঃ ২৬ বছর আগে ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি হিলি রেল স্টেশনে ঘটেছিল এক হৃদয় বিদারক ট্রেন দুর্ঘটনা। সে দিনের কথা মনে হলে আজও গা শিউরে উঠে এলাকাবাসীর।

হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন প্রত্যদর্শী জানান, সেদিন রাত সোয়া ৯ টায় গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুর গামী ৫১১ নং লোকাল ট্রেনটি ১ নম্বর রেল লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। কর্তব্যরত স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টসম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণে সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ৭৪৮ নং আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে প্রবেশ করলে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এতে বিকট শব্দে লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ দু’টি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। হতাহত হয় শতাধিক ব্যক্তি। যদিও সরকারি ভাবে নিহতের সংখ্যা ধরা হয় ২৭ জন।

পরের দিন ১৪ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছুটে আসেন দুর্ঘটনা স্থলে। ঘোষণা দেন নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু ২৬ বছরেও আহত ও নিহতদের অনেক পরিবার পায়নি ক্ষতি পূরণের সেই টাকা। আলোর মুখ দেখেনি তদন্ত কিমিটির প্রতিবেদন।

(এস/এসপি/জুন ১৩, ২০২১)