নূরুল আমিন খোকন, ফেনী : ফেনীর সব উপজেলায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে প্রাপ্ত ভ্যাকসিন শেষ হওয়ায় রবিবার (১৩ জুন) থেকে জেলায় ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য স্থাপিত সকল বুথ বন্ধ রয়েছে।

এমতাবস্থায় প্রথম ডোজ টিকা গ্রহনকারী ১৪ হাজার ৪৭৪ ব্যক্তিকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

সুরক্ষা এ্যাপসে আবেদন করেও ফেনীতে ১১ হাজার ৯৪৮ জন টিকার ডোজ গ্রহন করার কোন এসএমএস পাননি !

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিক ভাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। সেই থেকে সুরক্ষা এ্যাপসে ফেনী জেলায় ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য আবেদন করেন ৬৪ হাজার ১৮৭ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১১ হাজার ৯৪৮ জন মোবাইল ফোনে টিকা গ্রহণের এসএমএস না পেয়ে কোন ডোজ নিতে পারেনি। ৫২ হাজার ২৩৯ জন প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করেন। বাকী ১৪ হাজার ৪৭৪ ব্যক্তি দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ইপিআই সুপার সিরাজ উদ্দিন জানান, শনিবার (১২ জুন) ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর জেলায় অবশিষ্ট্য কোন টিকা ছিলোনা। তাই রবিবার (১৩ জুন) থেকে ফেনীর সকল উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা দান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে ফেনী সদর উপজেলায় ২৪ মে, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলায় ২৫ মে, পরশুরামে ২৯ মে, ফুলগাজীতে ৩১ মে ও সর্বশেষ ১২ জুন ছাগলনাইয়ায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৯ হাজার ২০০ ভায়াল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহন করে ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে প্রয়োগ শুরু করে।

জেলা সিভিল সার্জন রফিক উস-ছালেহীন জানান, জেলায় নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে ১১ হাজার ৯৪৮ জনকে ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে টিকা দেয়া যায়নি। ৫২ হাজার ২৩৯ জনকে প্রথম ডোজ ও ৩৭ হাজার ৭৬৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া শেষে আর কোন ভ্যাকসিন না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, পূনরায় ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(এন/এসপি/জুন ১৪, ২০২১)