আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে সমাপ্তি হলো নেতানিয়াহু যুগের, ইসরায়েলে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। মধ্যপন্থী ও উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারে নীতিগত বড় পরিবর্তন আশা করছেন না ফিলিস্তিনিরা। বরং কিছু ক্ষেত্রে শঙ্কা আরো বেড়েছে। তবে ইতোমধ্যে ইসরায়েলিদের নতুন সরকারকে অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা। ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ করতে মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

একনজরে দেখে নেয়া যাক কারা রয়েছেন এই তালিকায়-

জো বাইডেন

দখলদার ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। স্বাভাবিকভাবেই সরকার পরিবর্তন হলেও সম্পর্ক বদলাচ্ছে না ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের। ইসরায়েলে নতুন সরকার নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের অভিনন্দন জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো বন্ধু ইসরায়েলের নেই। আমি দুই দেশের ঘনিষ্ঠ ও স্থায়ী সম্পর্ক সবদিক থেকে জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি।

বাইডেন বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা অটল থাকবে। উন্নত নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি ও এই বৃহত্তর অঞ্চলের জনগণের শান্তি নিশ্চিতে ইসরায়েলের নতুন সরকারের প্রতি আমার প্রশাসন পুরোপুরি অঙ্গীকারাবদ্ধ।

নরেন্দ্র মোদি

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলিদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠা ভারতও ইসরায়েলের নতুন সরকারকে সমর্থন জানাতে দেরি করেনি।

সোমবার এক টুইটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নাফতালি বেনেটকে অভিনন্দন। আগামী বছর আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূরণ হচ্ছে। এমন মুহূর্তে আমি আপনার (বেনেট) সঙ্গে দেখা করতে এবং আমাদের দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব আরো গভীর করার প্রত্যাশায় রয়েছি।

জাস্টিন ট্রুডো

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তিনি ইসরায়েলি নেতা বেনেট ও ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এ দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিসহ বিভিন্নভাবে কানাডা এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার পথ বের করবেন বলে আশা করছেন।

এছাড়া এতদিন ধরে ‘মূল্যবান অংশীদারিত্বের’ জন্য সদ্য ক্ষমতাচ্যুত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

অ্যাঞ্জেলা মেরকেল

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের নতুন সরকারপ্রধানের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে’ চান।

বেনেটের উদ্দেশে এক বার্তায় মেরকেল বলেন, জার্মানি এবং ইসরায়েল অনন্য এক বন্ধুত্বের মাধ্যমে সংযুক্ত, যা আমরা আরো দৃঢ় করতে চাই। এটি মাথায় রেখেই আমি আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষা করছি।

ভ্লাদিমির পুতিন

ইসরায়েলের নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানোর তালিকায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

এক বিবৃতিতে বেনেটের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, সরকারের নেতৃপর্যায়ে আপনার কাজ সবদিক থেকে গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বিকশিত করবে। নিঃসন্দেহে এতে আমাদের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রয়েছে। রাশিয়া-ইসরায়েল সহযোগিতা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করতে সহায়তা করবে।

সেবাস্তিয়ান কার্জ

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ বেনেট ও লাপিদকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তিনি তাদের সঙ্গে কাজ করতে চান।

এক টুইটে কার্জ বলেন, ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে অস্ট্রিয়া ইসরায়েলের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সদা ইসরায়েলের পাশে থাকবে।

ডমিনিক রাব

ইসরায়েলের নতুন সরকারকে অভিন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। এক টুইটে তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক শান্তিরক্ষায় ইসরায়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে যুক্তরাজ্য। আল জাজিরা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আল-অ্যারাবিয়া।

(ওএস/এসপি/জুন ১৪, ২০২১)