মাগুরা প্রতিনিধি : পড়া না পারায় মাদ্রাসা শিক্ষকের  প্রহারে ক্ষতবিক্ষত হলো শিশু রাইসা। আহত রাইসা মাগুরা সদর উপজেলার বিষ্ণপুরু গ্রামের রাহাত হোসেনের মেয়ে।  সে মাগুরা সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর মহিলা মাদ্রাসায় হাফেজি অধ্যায়নরত। ১৫  মঙ্গলবার জুন সদর উপজেলা বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা  মহিলা মাদ্রাসায় এমন নিমম ঘটনা ঘটে।

শিশুটির নানা মীর মহি উদ্দীন শত্রুজিৎপুর পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, রাইসা ছোট বেলা থেকে নানি ও নানার কাছে থেকে মানুষ। রাইসার মা বাবা ঝিনাইদহ বসবাস করেন। বেশ কিছুদিন হল শিক্ষক সামছুদ্দিনের বাড়িতে নিজ উদ্যেগে গড়ে তোলা মহিলা মাদ্রাসায় ভতি করা হয়েছে রাইসাকে। সকালে সে কোরান শিক্ষার জন্য মাদ্রাসায় যায়। পড়া না পারায় পাষন্ড শিক্ষক সামছু উদ্দিন তাকে বাশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। রাইসা আহত শরীরের নিয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে এসে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখায়। এ সময় মাদ্রাসারা শিক্ষক সামছুদ্দিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মাগুরা সদর থানার শক্রজিতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনেসপক্ট বিশারুল ইসলাম বলেন, বিষ্ণুপুর গ্রামে নিজ উদ্যেগে কোন রেজিষ্টেশন ছাড়া বাড়িতে মহিলা মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন সামছুদ্দিন। এখানে তিনি গ্রামের মেয়েদের কোরান শিক্ষা দিয়ে থাকেন। সকালে রাইসা নামের একটি মেয়ে কোরান শিক্ষার জন্য আসলে পড়া না পারার কারনে তাকে বাশের কুনচি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত কওে বলে অভিযোগ এসেছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল হোসেন জানায়, এ ব্যাপারে মাগুরা শত্রুজিতপুর পুলিশ ফাঁড়িতে নানা আলহাজ্ব মীর মইন উদ্দিন লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ফাঁড়ি পুলিশ বিষ্ণুপুর গ্রামের মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষকের বাড়িতে গেলে শিক্ষক পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শিক্ষকের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে যদি বাদী মামলা করেন তাহলে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এস/এসপি/জুন ১৫, ২০২১)