জামালপুর প্রতিনিধি : ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে আটক সুমন মিয়া (২৫) নামের যুবকটি ভারতীয় নয়, বাংলাদেশি এবং ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালী থানার এশকোশ গ্রামে নয়, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের পলবান্ধা গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ওই গ্রামের মৃত তালেব মিয়ার ছেলে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা আটক সুমন। তবে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর ভুল তথ্য দেওয়ার কারণ পরিস্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৪ জুন) রাত ১০ টায় উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের সীমান্ত এলাকা থেকে সুমন মিয়াকে আটক করে স্থানীয়রা। আটকের ১৬ ঘন্টা পর মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে সুমন মিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে এবং তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর রাত ৮ টার দিকে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার রাতে সীমান্ত এলাকায় এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে তাকে আটক করলে স্থানীয়রা জানতে পারেন যে তিনি ভারতীয় নাগরিক। স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে যে তার নাম সুমন মিয়া এবং তিনি ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালী থানার এশকোশ গ্রামের মৃত তালেব মিয়ার ছেলে । তাকে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়। পরে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেওয়ার ১৬ ঘন্টা পর পুলিশ সুমন মিয়াকে বকশিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

বকশিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, সুমন মিয়াকে আটক করে করোনা টেস্টের পর বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়। এরপর তাকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় যে, তিনি বাংলাদেশি।

ওসি আরও জানান, সুমন মিয়া ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের পলবান্ধা গ্রামের মৃত তালেব মিয়ার ছেলে। বাবা মারা যাবার পর তিনি ওই গ্রামেরই মফিজল হকের পরিবারে লালিত-পালিত হয়েছেন। গতকাল সকালে মা জরিফুল বেগম ও স্ত্রী আকলিমা বেগমের সাথে ঝগড়া করে তিনি ঘুরতে ঘুরতে বকশিগঞ্জে আসেন এবং স্থানীয়দের হাতে আটক হন। তবে তার পিতা মৃত তালেব মিয়া দীর্ঘদিন আগে ভারতের জলাপাইগুড়িতে গিয়ে বিয়ে করেছিলো বলে জানা গেছে।

(আরআর/এসপি/জুন ১৫, ২০২১)