স্টাফ রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা চলমান রয়েছে। বেসরকারি খাত দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। আমাদের সরকার শিল্পবান্ধব সরকার, বেসরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে শিল্পায়নকে সরকার সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে।

বুধবার (১৬ জুন) গাজীপুরের শ্রীপুরে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের অত্যাধুনিক ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা প্রসেসিং, ফিলিং এবং প্যাকেজিং প্ল্যান্ট’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার শিল্পে সকল প্রকার বিনিয়োগকে উৎসাহিত করছে। বর্তমান বাজেটে দেশীয় শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে শিল্পবান্ধব বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউইক্রেমার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নেসলে বাংলাদেশের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর নকীব খান।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে নেসলের বিশ্বমানের কারখানা স্থাপন সন্তুষ্টির বিষয়। নেসলে বাংলাদেশ করোনার মধ্যেও তারা এ প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। এতে দেশে শিল্পায়ন বৃদ্ধির পাশাপাশি অধিক হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে নেসলে বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউইক্রেমা এই ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা প্রসেসিং, ফিলিং এবং প্যাকেজিং প্ল্যান্ট’র নির্মাণ কাজ থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপে সব ধরনের সহায়তার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলসমূহ অর্জনে চূড়ান্ত অগ্রগতি লাভ করেছে এবং বাংলাদেশ দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

নেসলে বাংলাদেশের এই প্ল্যান্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে নেসলের পথচলা গত ২৬ বছরেরও বেশি সময়ের। বাংলাদেশের অগ্রগতির এক অনন্য অংশীদার নেসলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে গত বছর ৬০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে)। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে উন্নতমানের শিশুখাদ্য তৈরির ক্ষেত্রে নেসলের এই নতুন প্ল্যান্টে সর্বশেষ প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন যোগ করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ইনফ্যান্ট ফর্মুলা পণ্যগুলো নেসলের ‘রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট’র সর্বশেষ অগ্রগতির ফলাফল এবং বিশ্বে নেসলের কেবলমাত্র ৩৪টি কারখানা রয়েছে শুধুমাত্র এই ধরনের ‘ইনফ্যান্ট ফর্মুলা’ পণ্যের জন্য। ১৫০ কোটি টাকার এই বিনিয়োগ উন্নত পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি এ দেশে আরও সুযোগ যেমন- কর্মসংস্থান, যুগান্তকারী উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে আসবে।

(ওএস/এসপি/জুন ১৬, ২০২১)