আবুল কালাম আজাদ, রাজবাড়ী : মায়ের জন্মের ২৫ বছর আগেই ছেলের জন্ম। এ ঘটনাটি কি আজব মনে হচ্ছে। না আজব নয়। বাংলাদেশেই ঘটেছে এ ঘটনা। কাগজ-কলমে সরকারী খাতায় এমনটাই লিপিবদ্ধ হয়েছে। মা-ছেলের জাতীয় পরিচয়পত্রে এমনই ঘটনার দৃষ্টান্ত দেখা দিয়েছে। এতে করে ওই পরিবারটি পড়েছে নানা বিড়ম্বনায়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুর গ্রামে। 

জাতীয় পরিচয়পত্র সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গঙ্গারামপুর গ্রামের ফিকির লস্কারের স্ত্রী সুফিয়া বেগমের জন্ম তারিখ ১৯৭২ সালের ১৫জুন, তার বড় ছেলে মোঃ কওশের আলীর জন্ম তারিখ ১৯৪৭ সালের ১ ডিসেম্বর। এতে সুফিয়া বেগমের বয়স ৪৯ বছর, তার বড় ছেলে মোঃ কওশের আলীর বয়স ৭৪ বছর। এতে কওশের আলী তার মায়ের চেয়ে ২৫ বছর আগেই জন্ম নিয়েছেন।

মোঃ কওশের আলী বলেন, আমার ভোটার আইডি কার্ডে জন্ম তারিখ আমার মায়ের জন্মের ২৫ বছর আগেই আমার জন্ম হয়েছে। এ কারণে আমি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে সরকারী বিভিন্ন সহায়তা পেতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। আমার মায়ের চেয়ে যারা ছোট তারাও বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। আর আমার মা আইডি কার্ড নিয়ে গেলে বলে আপনার বয়স হয়নি।নির্বাচন অফিসে গেলে তারা সংশোধনীর আবেদন করতে বলেন, তবে নানা ধরণের অজুহাত দেখান। আমরা গরিব খেটে খাওয়া মানুষ কার ভূলে আমরা এখন গচ্ছা দিচ্ছি। আমি বিষয়টি তদন্তপুর্বক জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

নারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সালাম মাষ্টার বলেন, অনেকেই আসছেন যাদের মধ্যে কেউ ৪ বছরেই পিতা হয়েছেন আবার কারো ছেলের চেয়ে মা ২৫ বছরের ছোট। এ কারণে এলাকার গরীব অসহায় মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা লেখাপড়া জানে তাদের ক্ষেত্রে এ ধরণের ভুল কম হয়েছে। তবে বেশির ভাগ যারা লেখাপড়া জানে না তাদের ভুল বেশি হয়েছে। তবে সংশোধীন উদ্যোগ গ্রহণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ নিজাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মাদারীপুরে প্রশিক্ষণে আছি। রবিবার অফিসে এসে কথা বলবো।

(একে/এসপি/জুন ১৬, ২০২১)