স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কদমতলীতে একই পরিবারের মা, বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রোববার (২০ জুন) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।

তিনি বলেন, নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই ও আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকালই মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

গতকাল পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন মেহজাবীন মুন। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)।

মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, ‘মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।’

সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/জুন ২০, ২০২১)