মোঃ শান্ত (নারায়ণগঞ্জ সদর) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ১৮নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষ্যা পাড় হাউজিং এর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি  দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক গর্তের। যার ফলে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ যেন দেখার কেউই নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রণদাপ্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে প্রায় হাটখোলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা মাইল জুড়ে পুরো রাস্তাটির সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন সেখান দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া থেকে হাটখোলা মোড় হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি চলাচল করে থাকে। কিন্তু রাস্তাটির বর্তমান পরিস্থিতি খুব অবনতি হওয়ার কারনে এখান দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ এই রাস্তাটির সমস্যা প্রায় ১ বছরের বেশি সময় ধরে। কিন্তু প্রায় দুই মাস আগেই এখানকার ড্রেনের কাজ শেষ হয়। কাজ চলমান অবস্থায় রাস্তাটির দুই প্রান্তে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হবার আগেই কারা যেন বাঁশ গুলো সরিয়ে দিয়েছে। তারপর থেকেই গাড়ি চলাচল শুরু হয় আর অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে থাকে। প্রায় সময় গর্তে গাড়ি পরে গাড়ি উল্টে যায়। এই রাস্তাটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করাও খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে যায়। এছাড়াও একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যায়। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি আমাদের নিরবির্ঘণে চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্করণ করা হোক।

পিকআপ ভ্যান চালক জানান এখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করা খুবই ঝুকিপূর্ণ। গাড়ি চালানোর সময় গাড়ি হেলে ধুলে চলে মনে হয় এই বুঝি গাড়ি উল্টে পড়ে গেলে।

স্থানীয় প্রতিনিধি ১৮ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর (নাসিক) কবির হোসেন জানায়, প্রায় কিছুদিন আগে ড্রেনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ড্রেনটি নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গভীরভাবে বানানো হয়েছে যেখানে শীতলক্ষ্যা,পাইকপাড়া ও কাশিপুর ইউনিয়নের ড্রেনগুলো এক সাথে মিলিত হয়েছে। কিন্তু বাকি যেই কাজ অবশিষ্ট আছে সেগুলো সিটি কর্পোরেশনের বাজেট স্বল্পতার কারনে কাজগুলো শুরু করতে পারছি না কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব শুরু করবো।

(এস/এসপি/জুন ২০, ২০২১)