আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তদের গুয়ানতানামো বে কারাগারে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছর যখন সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ছিল ঠিক তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন তিনি।

ওয়াশিংটন পোস্টের দু’জন প্রতিবেদকের লেখা একটি নতুন বইয়ে এমন দাবি করা হয়। ‘নাইটমেয়ার সিনারিও: ইনসাইড ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামক বইটির লেখক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ইয়াসমিন আবুতালেব ও দামিয়ান পালেত্তা।

বইটিতে তারা আরও উল্লেখ করেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে চায়, কোন ধরনের ভাইরাস নয়। কারণ ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে চায়না ভাইরাস মনে করতেন।

কিউবায় গুয়ানতানামো বে কারাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার যা বন্দীদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এই কারাগারে বন্দীদের বিনাবিচারে আটক রাখা হয় এবং তথ্য আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে বন্দীদের ওপর যৌন অত্যাচারসহ আইনবহির্ভূত নানা নির্যাতন চালানো হয়।

৯/১১-এ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর শত্রু যোদ্ধাদের আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এ কারাগার চালু করেন। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে কারাগারটি তৈরি করা হয়।

ডোনাল্ট ট্রাম্পের সময়ে করোনায় নাজুক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, মহামারিতে দেশটিতে মোট ৬ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। যার মধ্যে প্রায় ৪ লাখ মৃত্যু হয় ট্রাম্পের আমলে।

ট্রাম্পের কিছু শীর্ষ উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যগুলো বইটিতে তুলে ধরেন ওয়াশিংটন পোস্টের দুই প্রতিবেদক। যেখানে তারা উল্লেখ করেন, ট্রাম্প্র শুরুতে নিজের করোনা পরীক্ষা করতে রাজি ছিলেন না। কারণ ট্রাম্পের ধারণা ছিল তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ হলে আসন্ন নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন।

এছাড়া করোনাকালে হোয়াইট হাউসের আমলাদের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসে বইটিতে। যেখানে দাবি করা হয়, হোয়াইট হাউসের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউসির সাথেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো ছিল না। মহামারির সময়ও ডোনাল্ড ট্রাম্প চিকিৎসকদের চেয়ে অর্থনীতিবিদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। আল জাজিরা।

(ওএস/এসপি/জুন ২২, ২০২১)


ওয়াশিংটন পোস্টের দু’জন প্রতিবেদকের লেখা একটি নতুন বইয়ে এমন দাবি করা হয়। ‘নাইটমেয়ার সিনারিও: ইনসাইড ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নামক বইটির লেখক ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদক ইয়াসমিন আবুতালেব ও দামিয়ান পালেত্তা।
বইটিতে তারা আরও উল্লেখ করেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে চায়, কোন ধরনের ভাইরাস নয়। কারণ ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে চায়না ভাইরাস মনে করতেন।
কিউবায় গুয়ানতানামো বে কারাগার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগার যা বন্দীদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত। এই কারাগারে বন্দীদের বিনাবিচারে আটক রাখা হয় এবং তথ্য আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে বন্দীদের ওপর যৌন অত্যাচারসহ আইনবহির্ভূত নানা নির্যাতন চালানো হয়।
৯/১১-এ যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর শত্রু যোদ্ধাদের আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এ কারাগার চালু করেন। ১৯০৩ সালের হাভানা চুক্তির আওতায় কিউবা থেকে ইজারা নিয়ে কারাগারটি তৈরি করা হয়।
ডোনাল্ট ট্রাম্পের সময়ে করোনায় নাজুক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বলছে, মহামারিতে দেশটিতে মোট ৬ লাখ মানুষ প্রাণ হারান। যার মধ্যে প্রায় ৪ লাখ মৃত্যু হয় ট্রাম্পের আমলে।
ট্রাম্পের কিছু শীর্ষ উপদেষ্টার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তথ্যগুলো বইটিতে তুলে ধরেন ওয়াশিংটন পোস্টের দুই প্রতিবেদক। যেখানে তারা উল্লেখ করেন, ট্রাম্প্র শুরুতে নিজের করোনা পরীক্ষা করতে রাজি ছিলেন না। কারণ ট্রাম্পের ধারণা ছিল তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ হলে আসন্ন নির্বাচনে হেরে যেতে পারেন।
এছাড়া করোনাকালে হোয়াইট হাউসের আমলাদের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়টিও উঠে আসে বইটিতে। যেখানে দাবি করা হয়, হোয়াইট হাউসের চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউসির সাথেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো ছিল না। মহামারির সময়ও ডোনাল্ড ট্রাম্প চিকিৎসকদের চেয়ে অর্থনীতিবিদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা