ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে স্বামীকে বেঁধে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে চরজব্বার থানায় মামলা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে চরজব্বার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগি বাদী হয়ে থানায় ৬জনকে আসামী করে পরদিন মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৩- ৭ জুন ২১। 

মামলার ১২ দিন পার হয়ে গেলেও ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতার না করায় মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

২২ জুন (মঙ্গলবার) বিকেল ৪ টায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরজিয়া উদ্দিন গ্রামের খলিল চেয়ারম্যান বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় ভ’মিহীন নেতা আবু কালাম সফি চৌধুূরী, স্থানীয় সমাজ কর্মি মোঃ সেলিম, স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাকসুদ, প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জমির উদ্দিন , স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামি লীগ সভাপতি মোঃ রফিক কেরানী প্রমুখ। সেদিনের ভয়ংকর রাতের ঘটনা তুলে ধরেন ধর্ষিতা ও স্বামী । মানববন্ধনে প্রায় ৫ শতাধিক লোকজন অংগ্রহণ করে।

বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ দিন পার হয়ে গেলেও অন্য আসামিদের গ্রেফতার না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে ধর্ষিতার পরিবার। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন প¦ার্শবর্তী রামগতি উপজেলার চরগাজি ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডর্রে মেম্বার মোঃ ফরিদের নেতৃত্বে ধর্ষণকারিরা এঘটনা ঘটিয়েছে, সে চর মিজানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়, তার নামে চুরি ডাকাতি, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবী করেন বক্তারা । বক্তারা অতিদ্রুত মামলায় উল্লেখিত সকল আসামিদের গ্রেফতারের দাবী জানান।

উল্লেখ্য, গত ০৭ জুন সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের শাহাদাতের বাড়ীতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে তার বাড়ীতে প্রবেশ করে, অভিযুক্ত ধর্ষক চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের আবু তাহেরর পুত্র আইয়ু আলী (২৯), মৃত শাহ আলমের পুত্র মোঃ কবির হোসেন (৪০), হুকু সারেং এর পুত্র সাইফুল ইসলাম(৩৩), মফিজ পাটোয়ারীর পুত্র মাকসুদ (২৮), সাহাব উদ্দিন, পিতা অজ্ঞাত ও বাদশা(৩২) পিতা অজ্ঞাত।

তারা সবাই শাহাদাতের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে এবং শাহাদাতকে মারধর করে তার সন্তানদেরসহ ঘরের বাহিরে বেঁধে রাখে, পরে আইয়ুব আলী গৃহবধূকে তার রুমে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বাকি আসামিরা শোকেস থেকে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।

পরে গৃহবধূর শৌর চিৎকারের এলাকাবাসী এসে শাহাদাত ও তার সন্তানদের উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় পরে আহত শাহাদাতকে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ভোর ৫টায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আইয়ুব আলীকে স্থানীয় চর মিজানের ফরিদের দোকান থেকে মামলার প্রধান আসামি আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

চরজব্বার থানার ওসি জিয়াউল হক তরিক খন্দকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনারদিন ভোর ৫টায় খবর পেয়ে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা আব্যাহত আছে।

(এস/এসপি/জুন ২২, ২০২১)