মাগুরা প্রতিনিধি : অব্যাহতভাবে মাগুরায় করোনা রোগী বেড়ে গেলেও মাগুরার ২৫০ শয্যার হাসাপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না রোগীর স্বজনরা। বরান্দার মেঝেেেত বিছানা দিয়ে তৈরি হয়েছে আইসোরেশন ওয়ার্ড। শুধু তাই নয় করোনায় সন্দেহে মৃত রোগীকে হাসপাতাল থেকে নেয়া হচ্ছে একইরকম অসতর্কতায়। হাসপাতাল কর্তপক্ষ এ বিষয়ে রোগীর স্বজনদের অসচেতনতার পাশপাপাশি জনবল সংকটকে দায়ী করছেন।

মাগুরা জেলা সদরের এই হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ৩০ জন রোগী করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। কিন্তু তাদেরঅধিকাংশ রোগী ঘিরে স্বজনদের ভীড়। যেমনটি ঘটেছে সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামের ৬০ বছর বয়েসী এক রোগীর ক্ষেত্রে। তাকে জড়িয়ে একই শয্যায় বসে আছেন তার ছেলেসহ অন্যরা। একই অন্য রোগীর ক্ষেত্রে। এই ওয়ার্ডেই গতকাল শুক্রবার সকালে করোনা ইপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন এক নারী। কোন সতর্কতা ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই তাকে নিয়ে একই ভ্যানে হাসপাতাল ছেড়েছেন স্বজনরা।

এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সেবিকা সালমা পারভিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওয়ার্ডে কোন ওয়ার্ড বয় নেই। যে কারণে একা তাকে সবকিছু সামলাতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা কিছুতেই কথা শুনছেন না। অনেক ক্ষেত্রে এ বিষয় নিয়ে স্বজনদেও সাথে হাসপাতাল কর্মচারিদের হাতাহাতি পর্যন্ত হচ্ছে। হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ আসলে প্রথমে এই ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে করোনা নিশ্চিত হলে সেই রোগীকে স্থানান্তর করা হয় এই হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ তলার নির্ধারিত করোনা ওয়ার্ডে। বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে ১৪ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সেখানে সব সময় আনসার সদস্যরা পাহারায় থাকায় কেউ যেতে পারে না। কিন্তু করোনা আইসোলেশেনের ওয়ার্ডে সে ধরনের কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। এই ওয়ার্ডে করোনা উউপসর্ঘ নিয়ে মারা গেছেন মাগুরার মহম্মদপুরের এক নারী।

এ বিষয়ে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপতালের আবাসিক কর্মকর্তা বিকাশ কুমার শিকদার বলেন,‘২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু সব বিভাগে ব্যাপক জনবল সংকট রয়েছে। স্বল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে ৫ জন চিকিৎসক এখান থেকে বদলী হয়ে গেছেন। করোনা ওয়ার্ডে কারো ডিউটি থাকলে প্রতি ১৫ দিন অন্তর তাকে ছুটি নিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়। আমরা জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি’।

এ বিষয়ে মাগুরা সিভিল সার্জন ডাক্তার শহিদ্ল্লুাহ দেওয়ান বলেন, ‘মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ মোট ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার করার বুথ রয়েছে। সেখানে সে কেউ ইচ্ছা করলেই করোনা পরীক্ষা করাতে পারে। আমরা প্রতিনিয়ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি। তবে করোনা নিয়ে এধরনের ভীতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, মনগড়া নানা ধারনো ও গুজবের কারনে অনেকে পরীক্ষা না করে নিজেদের ইচ্ছামত চিকিৎসা নিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন’।

(এম/এসপি/জুন ২৮, ২০২১)