ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : সরকারি ও বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ও পণ্যবাহী বাহন ছাড়া কিছু সংখ্যক অটোরিকশা-ভ্যান চলতে দেখা গেছে বিভিন্ন রাস্তায়। কিছু কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেলেও তবে সংখ্যায় তা একেবারেই কম। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড দিয়ে তল্লাসি চালাচ্ছে । 

মানুষ যেন অকারণে বাইরে চলাচল না করে সেজন্য মাইকিং করে নিষেধ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলা, উপজেলা শহর সহ গ্রামের হাট-বাজার গুলোতে সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে জেলায় শপিংমল, বিপনী বিতান গুলোও বন্ধ রয়েছে। অনেকে প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে বের হয়েছেন। এছাড়া মানুষের প্রয়োজনের তাগিদে রিকশা-ভ্যান ও মোটরবাইক চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও রিক্স্যা-ভ্যানে যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। সড়ক-মহাসড়কে পন্যবাহী ট্রাক, ঔষুধ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত গাড়ি, ইজিবাইক, ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান ছাড়া কোন অন্য কোন পরিবহন চলাচল করছে না । ফলমুল সহ নিত্যপন্যের দোকানপাট খোলা থাকলেও দোকানদারেরা ক্রেতার অভাবে অলস সময় পার করেছেন।

এদিকে লকডাউনে বাইরে বের হতে না পেরে আয় বন্ধ হওয়ায় দূর্ভোগে পরেছেন খেটে খাওয়া নিম্নবিত্তের আয়ের মানুষেরা। অনেক রিক্সা-ভ্যান চালক কঠোর লকডাউন চলায় মানুষজন বাইরে বের না হওয়ায় যাত্রীর অভাবে খালি ভ্যান নিয়ে বসে আছেন। এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় সেনা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট’র গাড়ি টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেই প্রশাসনের তৎপরতা চলছে, দ্বিতীয় দিনেও একই চিত্র । সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসনের শক্ত অবস্থানে থাকার কারণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। বৃষ্টির মধ্যেও মাঠে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সংশিষ্ট আইন শৃংখলা বাহিনী।

(কে/এসপি/জুলাই ০২, ২০২১)