নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সুবর্ণচরে এক নারীর দেন মোহরের টাকা আটকে রেখে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় টাকা উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন নারীর মা। ঘটনাটি ঘটে সুবর্নচর উপজেলার ৭নং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরমজিদ গ্রামে।

শুক্রবার (২ জুলাই) সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগির মা ফেয়ারা বেগম অভিযোগ করে বলেন "পূর্বচরমিজদ গ্রামের বাহার এর পুত্র ইসমাইল হোসেন রুবেল আমার মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পরে আমার স্বামী ২০১৫ সালে বাদী হয়ে রুবেলকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করে মামলা থেকে রেহাই পেতে এলাকার সমাজিরা ছেলের সাথে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সিধান্ত নেন, বিয়ের ফর্দনামার পরে আমার স্বামী মারা যায়। কিছুদিন পরে ধর্ষক ইসমাইল হোসেন রুবেল সাথে আমার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসির সাথে বিয়ে হয় বিয়ের পর থেকে রুবেল তাকে অমানুবিক নির্যাতন করে। কয়েকবার শালিস বিচারের পর গত ২০২০ সালে শালিসের মাধ্যেমে তাদের ছাড়াছাড়ির সিধান্ত হয়। পরে ছেলে পক্ষ দেন মোহরের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার খোকন হকার মেম্বারকে বুঝিয়ে দেন এবং তাদের ঘরে জন্মনেয়া ৪বছরের শিশু সন্তান মাহিকে রুবেল তার বাড়ীতে নিয়ে যান। কিন্তু ঐ সময় খোকন হকার মেম্বার আমাকে কোন টাকা দেননি। দীর্ঘ ৬ মাস ধরে মেম্বার টাকা গুলো আটকে রাখে। অনেক অনুরোধ করার পর ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেন। কিন্তু বাকি ৭০ হাজার টাকা এখনো ফেরত দেননি।

ফেয়ারা বেগম আরো বলেন, টাকা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে খোকন হকার মেম্বার আমাকে হয়রানি ও অপমান অপদস্থ করে যাচ্ছে, একাধিক বার টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে খোকন হকার তার, স্থানীয় বাজার এবং বাড়ীতে ডেকে নিয়ে অকত্যভাষায় গালমন্ধ করেন, তিনি টাকা গুলো আত্মসাৎ করার পায়তারা করছে। আমি গরিব মানুষ আমার স্বামী নাই, আমি আমার মেয়ের ইজ্জতের টাকা ফেরত চাই। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

অভিযুক্ত ৭নং পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার খোকন হকার টাকা রাখার কথা স্বিকার করে বলেন, "টাকা আমার কাছে আছে, আমা অন্য জায়গায় টাকাটা হেফাজতে রেখেছি।

বিয়ের আগে নাকি ছেলে মেয়েটাকে ধর্ষণ করেছে ঐ সময় মেয়ের বাবা চরজব্বার থানায় একটি মামলা করেন মামলায় ছেলে ২ মাস জেলও খেটেছে। শালিসের সময় কথা ছিলো মহিলা মামলা তুলে নিলে বাকী টাকা ফেরত দেয়া হবে। যেহেতু করোনার জন্য কোর্ট বন্ধ সেজন্যই এটি সমাধান করতে একটু সময় লাগছে।

মামলার উকিল এডভোকেট আবুল বাসারের সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, যেহেতু মামলা চলমান পুরো টাকা দিয়ে দিলে পরে মহিলাটি মামলা তুলে না নিলে তার দায় কে নেবে? নারী নির্যাতন মামলা একটু সময় লাগে, লকডাউন শেষ হলে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে দেখবো। তবে মেম্বার এতো টাকা না রেখে সামান্য কিছু টাকা রাখতে পারে। বাকি টাকা মহিলাকে দিতে পারে।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া যাবে।

(এস/এসপি/জুলাই ০২, ২০২১)