ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : তুচ্ছ ঘটনায় নোয়াখালী সুবর্ণচরে নোয়াখালী জজ কোর্টের এক আইনজীবী সহকারি ও তার পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় ২ নারী এক শিশুসহ আহত হয়েছেন ৬ জন। 

আহতরা বর্তমানে সুবর্নচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনাটি ঘটে ১ জুলাই চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের সাতাশদ্রোন গ্রামে।

আহত মোঃ শেখ ফরিদ (৪৫) একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে তিনি নোয়াখালী জজ কোর্টের এপিপি এডভোকেট ওমর ফারুকের সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

হামলার শিকার ভুক্তভোগি শেখ ফরিদ অভিযোগ করে জানান, "বাড়ীর পুকুরের ঘাট ব্যবহারকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দ্যেশে প্রতিবেশী সাতাশদ্রোন গ্রামের আব্দুল মান্নান(৫০) তার পুত্র আব্দুর রহমান(২৫), আব্দুল মালেক (২২), আব্দুর রহিম (২৪)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের ভাটাটিয়া সন্ত্রাসীরা ওপর হামলা করে। তাদের অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় আমার পুত্র মোঃ হোসেন (১৩), রাকিব হোসেন(১১), আমির হামজা(৪) আমার মেয়ে আয়েশা খাতুন(২২) কে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং আমার মেয়ে আয়েশা খাতুন এর শিশু পুত্র আমার নাতি আবরার হোসেন ফাহাদ (২ মাস) ছুড়ে পেলে দেয়। আমাদের শৌরচিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমরা হাসপাতালে ভর্তি হবার পূর্বে চরজব্বার থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেছি, এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান মারধরের ঘটনা স্বিকার করে বলেন, আমরা পরস্পর আত্বীয় স্বজন দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝামেলা চলতেছে, হামলায় আমাদেরও দুজন আহত হয়েছে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে চলে আসে।

আইনজীবী সহকারি ফরিদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্ধা জানিয়ে দোষিদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা সহ সোস্যাল এক্টিভিষ্টগণ।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, "এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২১)