সোহেল সাশ্রু, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) : সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে আজ তৃতীয় দিন। আজ ৩ জুলাই শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কঠোর তদারকি অব্যাহত রেখেছে ভৈরব থানা পুলিশ। বিনা কারণে ঘোরাফেরার জন্য জনসাধারণের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ভৈরব থানার সদস্যরা। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় আসা মানুষগুলো কারণ বলতে না পারায় তাদের আবার ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িতে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার আটকিয়ে দিচ্ছে বারবার। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া কারণ দর্শানোর পর তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। বাকীদের দেয়া হচ্ছে মামলা অথবা করা হচ্ছে জরিমানা। 

পুলিশের পাশাপাশি মাঠে তৎপর রয়েছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা।

জানা যায়, ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহীনের নেতৃত্বে ভৈরব শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ভৈরব নৌ থানা, ভৈরব হাইওয়ে থানা ও থানা পুলিশসহ মোট আটটি টিম ভৈরবের লকডাউন কার্যকর করতে বিরামহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে দেখা যায় পুলিশি অভিযান। কঠোর হওয়ার পাশাপাশি পথচারীদের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছে। প্রতিদিন ২শ মতো মাস্ক বিতরণ করছে বলে পুলিশ সদস্যরা জানায়।

ভৈরবে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ জন। বাসস্ট্যান্ড দুর্জয় মোড় থেকে অনেক গাড়ি ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ভৈরবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবস্থাও দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রশাসনের লোকজনসহ ব্যাপক হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে দিন রাত পুলিশ মাঠে তৎপর রয়েছে। গত ১ সপ্তাহে ভৈরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রশাসনও এ বিষয়ে আতঙ্কিত।

মানুষ এ মুহুর্তে সচেতন ও স্বাস্থ্য বিধি না মানলে ভৈরবে করোনা মহামারি ভয়াবহ রূপ নিবে। সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে ভৈরবের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৮টি টিমের মধ্যে ২টি স্পেশাল টিম, ১টি মোবাইল টিম ও ৫টি চেক পোস্টের মাধ্যমে দিন রাত তদারকি করা হচ্ছে। এসময় তিনি আরো বলেন করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই।

(এস/এসপি/জুলাই ০৩, ২০২১)