আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭১। অপরদিকে একদিনে নতুন করে মারা গেছে আরও ৯৫৫ জন। একদিন আগেই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১১১। একই সময়ে মারা গেছেন ৭৩৮ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণ কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

তবে গত কয়েক মাস ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ে যে পরিমাণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল তা কিছুটা হলেও কমেছে। গত শুক্রবার দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা চার লাখ পার হয়ে গেছে।

বিশ্বে এর আগে করোনায় চার লাখ মৃত্যুর ভয়াল মাইলফলক পেরিয়েছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। আর আক্রান্তের সংখ্যায় শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পেছনে রয়েছে ভারত। দেশটিতে ইতোমধ্যেই তিন কোটির বেশি মানুষ করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।

রাজধানী দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশিরভাগ রাজ্যে আগের তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে সংক্রমণ। ভারতে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ
৪৫ হাজার ৪৩৩।

দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫০ জনে। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ২৯৯ জন। এখন পর্যন্ত দেশে ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করছে ভারত। এখন পর্যন্ত ৩৫ কোটি ১২ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকারণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গতকাল ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

কিন্তু আগের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ কমলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যেতে পারে অক্টোবর-নভেম্বরে। কিন্তু দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় অনেকটাই কম হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

শনিবার মহারাষ্ট্রে ৮ লাখের বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে। ওই রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে, যা অন্য সব রাজ্যের চেয়ে বেশি। এদিকে সংক্রমণ কমতে থাকায় কর্নাটকে বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২১)