রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আপন দুই বোনের কান্ড। বড় বোনের নাম নয়ন, ছোট বোন মুন্নী। দুই বোনের স্বামীই থাকেন দেশের বাইরে। একা থাকার সুযোগে তারা জড়িয়ে যান পরকীয়ায়। তাদের সেই পরকীয়া প্রেমিকরা হলেন সোহেল ও পারভেজ। তারা পরস্পরের ঘনিষ্ট বন্ধুও। গত বুধবার গভীর রাতে সোহেলের হাত ধরে নয়ন আর পারভেজের হাত ধরে মুন্নী একসঙ্গে অজানার উদ্দেশে পাড়ি জমান। যাওয়ার সময় দুই বোনই নিয়ে যান প্রবাসী স্বামীর স্বর্ণালঙ্কার আর নগদ টাকা।

প্রবাসী স্বামীর স্বর্ণালঙ্কার আর নগদ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে দুই সহোদর বোনের এক সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তোলপাড়া চলছে রায়পুর পৌর শহরের পোস্ট অফিস সড়কের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীর পরিবারের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক কোর্ট ডায়েরি করা হয়েছে।

পলাতক গৃহবধূরা হলেন- পৌর শহরের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের মদার বাড়ির প্রবাসী মো. রিপনের স্ত্রী নয়ন আক্তার ও পানপাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী মুন্নী আক্তার। তারা রামগঞ্জ পৌর সভার সরকারি হাসপাতাল সংলগ্ন বাড়ির আবুল হাসানাতের মেয়ে।

শুক্রবার সকালে দুই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা অভিযোগ করে সংবাদিকদের বলেন, প্রবাসী রিপনের স্ত্রী নয়ন তার দুই সস্তান রেখে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৮ ভরি স্বর্ণসহ তিন লাখ টাকার মালামাল নিয়ে কেরোয়া ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে ও জেলা পাসপোর্ট অফিসের দালাল সোহেলের সঙ্গে উধাও হয়ে গেছে। একই রাতে নয়নের ছোট বোন মুন্নী এক সন্তান রেখে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে কেরোয়া ইউনিয়নের মোল্লার হাট গ্রামের ফিরোজ আলমের ছেলে ও বেসরকারি সংস্থার কিংশুকের হায়দরগঞ্জ শাখার মাঠ কর্মকর্তা মো. পারভেজের সঙ্গে উধাও হয়ে যায়। পারভেজ ও সোহেল একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

জানতে চাইলে প্রেমিক সোহেল জানান, নয়ন তার প্রবাসী স্বামীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেয়ায় তিনি বিয়ে করেছেন। তবে পারভেজ ভুল স্বীকার করে বলেন, মুন্নীর সঙ্গে সম্পর্ক করে ভুল করেছি। এটি আগে বুঝতে পারিনি।

রায়পুর থানার ওসি একেএম মনঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, দুই সহোদর বোন একসঙ্গে নিজ নিজ প্রেমিককে নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

(এমআরএস/এইচআর/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৪)