রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে দিনের দিন বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা। সাথে বাড়ছে মৃত্যূর সংখ্যা। ঠিক এ সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য সব চেয়ে প্রয়োজনীয় হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই এ্ উপজেলার হাসপাতালে।

গত চার দিনে করোনাভাইরাস সনাক্তে নমুনা দেয় ১৮৬ জন এতে সনাক্ত হয় ৭৮ জন। সুস্থ হয়েছে ৪২ জন এবং মারা গেছেন ২ জন ব্যক্তি। এছাড়াও উপজেলায় সর্ব মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫০ জন সুস্থতার সংখ্যা ২৩৫ জন। মারা গেছেন মোট ১৭ জন।

এদিকে সম্প্রতি জ্বর নিয়ে মারা গেছেন উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের মহসিন আলীর স্ত্রী(৩০) পৌর শহরের সন্দারই গ্রামের মরহুম আবুল হোসেনের ছেলে(৪০) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও সম্প্রতি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেনের অভাবে দিনাজপুর নেওয়ার পথে মারা গেছেন উপজেলার সদর এলাকার সফিরউদ্দীনের পুত্র সাবেক ছাত্রলীগ নেতা(৪০) ও পৌর শহরের আব্দুস সালামের স্ত্রী(৬০)। তারা দুজনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।

উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আনিসুর রহমান বাকী বলেন,অতি উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন থাকলে হয়তো বা তাজা দুটি প্রাণ বেচে যেত। তাই আমি মনে করি প্রয়োজনীয় এ অক্সিজেন হাসপাতালে অতি জরুরী ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ফিরোজ আলম রোববার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, আমাদের হাসপাতালে ৩০ শয্যার আইসোলশন বেড রয়েছে। এবং ফেশ মাস্ক অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ৩১টি। তবে রিব্রিদার মাস্ক ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন আমাদের এখানে নেই।

সাধারণত হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন যে রোগীর ৭০ ভাগের নিচে অক্সিজেন স্যাচুরেশন নেমে আসে তাদের দিতে হয়। তবে এখন পযর্ন্ত এমন রোগী আমাদের এখানে আসেনি। যারা ইতিমধ্যে মারা গেছে তাদের দিনাজপুর নেওয়ার পথে মারা গেছেন। তবে অতি উচ্চ মাত্রার হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন আমাদের হাসপাতালে প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা অক্সিজেন আমি ব্যক্তিগতভাবে হাসপাতালে দিতে চেয়েছি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি কোথায় পাওয়া যাবে তা ব্যবস্থা করেন আমি নিজস্ব অর্থায়ানে এ অক্সিজেন হাসপাতালে দেব।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২১)