অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে সংক্রমনের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পঞ্চাশ থেকে ষাটোর্ধ মানুষ আক্রান্ত হলেই ঝুকির মধ্যে চলে যাচ্ছে জীবন। তবে কম বয়সীরাও মৃত্যুবরণ করছে ঝিনাইদহে। হাই ফ্লো অক্সিজেনের অভাবে বেশির ভাগ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। গতকাল এক নারীর হাই ফ্লো অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। কারণ সবগুলো করোনা রোগীর কাছে ছিল। কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা। অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬২ জন।
সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯ জন ও শৈলকূপা,কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় মারা গেছে একজন করে। এছাড়াও সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ৩ জন।

এদিকে জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৬২ জন। ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৬ দশমিক ৬৫ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৫ হাজার ৪৮২ জনে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরু থেকেই পদ্ধতিগত অনেক ভুল ছিল। করোনা সংক্রমণের উৎস নির্ধারণ করা হয়নি। কারা ছড়াচ্ছে, কোন জনগোষ্ঠী ঝুঁকিপূর্ণ—সেসব শনাক্ত করা হয়নি। ঝিনাইদহের জনসংখ্যা আর রোগের বিস্তৃতি অনুসারে আসলে কোভিডের জন্য কত শয্যা দরকার, কত সরঞ্জাম দরকার, সেটা সঠিকভাবে পরিকল্পনামাফিক নির্ধারণ করা হয়নি। প্রয়োজন নির্ধারণ না করেই মনগড়া কিছু করা হয়েছে। মোট কথা, প্রতিরোধে ব্যবস্থা জোরদার ছিল না, চিকিৎসার ক্ষেত্রে উপকরণ, অবকাঠামো, জনবল ঘাটতি ছিল এবং এখনো আছে।

(একে/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২১)