মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদনে প্রেমিকাকে অপহরণের অভিযোগে প্রেমিক আলী রাজ ও ইজি বাইক চালক হায়দারকে শুক্রবার বিকালে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে মদন থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার প্রেমিকার ভাই প্রেমিক আলী রাজ ও তার সহযোগি ইজি বাইক চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মদন থানায় অপহরণ একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের শিব্বাশা গ্রামে। একই ঘটনায় গত ১০ মার্চ ২০২০ ইং তারিখে আলী রাজকে গ্রেপ্তার করে মদন থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা রয়েছে। মামলাটি এখনও নিস্পত্তি হয়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে মদন থানা পুলিশ শিব্বাশা গ্রামে টহলরত অবস্থায় এক প্রেমিক যুগলকে অটোচালকসহ আটক করে মদন থানায় নিয়ে আসে। পরে প্রেমিকা প্রেমিকের বিরুদ্ধে তাকে অপহরণের অভিযোগ আনে। আটককৃত প্রেমিক শিবপাশা গ্রামের তমজিদের ছেলে আলীরাজ (২১) ও একই গ্রামের ইজিবাইক চালক মৃত মতিউর রহমানের ছেলে হায়দার মিয়া। আর প্রেমিকাও (১৭) একই পল্লীর জৈনক ব্যক্তির মেয়ে।

মেয়েটি জানান, গত রাতে আমি যখন প্রকৃতির ডাকে বাহিরে আসি তখন হঠাৎ করে কোথায় থেকে এসে আলীরাজ আমার মুখ চেপে ধরে অটোরিকশাতে করে তুলে নিয়ে আসার পুলিশ আমাদের আটক করে থানাতে নিয়ে আসে।
অভিযুক্ত আলীরাজ জানান, তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের গবীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে আমার সাথে পালাবে বলে আমি অটোরিকশা নিয়ে তার বাড়ির সামনে অবস্থান করি। পরে তাকে নিয়ে পালিয়ে আসার সময় শিব্বাশা উত্তর পাড়ার রাস্তায় থেকে পুলিশ আমাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এখন সে তার ভাইদের ভয়ে মত পাল্টাচ্ছে। যদি আমি তাকে জোর করে তুলে আনতাম তবে সে চিৎকার করেনি কেন? তার সাথে ব্যাগ ভর্তি কাপড় কোথায় থেকে এলো। আমি নিরপরাধ। আমি তাকে অপহরণ করিনি। সে নিজ ইচ্ছায় আমার সাথে পালিয়েছিল।

অভিযুক্তের মা ইউপি সদস্য মন্দিরা আক্তার জানান, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ে নিজ ইচ্ছাই পালিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আমার ছেলে তাকে অপরণ করেনি। এক বছর আগেও ওই মেয়ের পরিবার আমার ছেলের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের মামলা করেছিল। ওই মামলায় আমার ছেলে এক সপ্তাহ হাজতবাস করে। মেয়ের পরিবার রাজী থাকলে ওই মেয়েকে আমার পুত্রবধূ করতে কোন আপত্তি নেই।

মদন থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলম জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশের চেকপোস্টে এক কিশোরীসহ দুই যুবককে আটক করে আমার পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। কিশোরীর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপহরণ মামলা রজু করে আসামিদের শুক্রবার বিকালে নেত্রকোনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে আসামি আলী রাজের বিরুদ্ধে একই ঘটনায় ২০২০ ইং তারিখে ওই পরিবার একটি অপহরণ মামলা করে তার বিরুদ্ধে । মামলাটি এখনও নিস্পত্তি হয়নি।

(এম/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২১)