অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী লকডাউন রক্ষায় কঠোর হলেও গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। উপজেলার নাচনাপাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি অপেক্ষা করে কোরবানির গরুর বাজারে উপচে পড়া মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। ইজারাদার বলছেন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।

শনিবার (১০ জুলাই)উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের নাচনাপাড়া মানিকখালী কোরবানির গরুর বাজার ঘুরে এ চিত্র চোখে পড়েছে। বেলা ১১টার দিকে পাথরঘাটা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা পুলিশ সাংবাদিক জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে লকডাউন কঠোর থেকে কঠোরতর করতে পৌরশহরে যখন অভিযান চলছে ঠিক তখনই নাচনাপাড়ায় কোরবানির গরুর হাটে উপচে পড়া মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। পাথরঘাটায় মানুষের মাঝে সচেতনতার চরম অভাব লক্ষ করা গেছে।

এ বিষয়ে করোনাকালীন পাথরঘাটায় দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষাকারী মানুষদের মাঝে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন দণ্ড কিংবা জরিমানা আদায় করে লকডাউন এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছি।

পাথরঘাটা থানার (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা অভাব রয়েছে ।লকডাউনের কঠোরতা আরো বাড়াতে হবে। আমরা করণা সম্পর্কে করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতার জন্য মানুষকে বোঝাচ্ছি। মাঠে রয়েছি।

পাথরঘাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহিরুল হক ইনু বলেন, করোনার ভীতি সম্পর্কে আমাদের মাঝে যথেষ্ট সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানুষকে আমরা করণা সম্পর্কে বুঝাচ্ছি। আমরা মাঠে আছি ।আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে আছে ।লকডাউন কঠোর থেকে কঠোর হতেই হবে।

পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে পাথরঘাটার মানুষ এখনো অবগত নয়। মানুষ নিশ্চিন্তে এখনো বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক।

লকডাউন চলাকালীন সময়ে পাথরঘাটার নাচনাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি স্থানে কোরবানির গরুর হাট বসেছে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগে বিভিন্ন নেতিবাচক সমালোচনার ঝড় বইছে।

করোনাকালে কোরবানির হাটের অনুমতি আছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে ইজারাদার ফয়সাল সরকার বলেন, আমাদের অনুমোদন আছে এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর বাজারের ক্রয়-বিক্রয় চলছে।

এপ্রসঙ্গে নাচনাপাড়া কাদেরিয়া মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোরবানির হাট ঘুরে দেখেছি ৯০ ভাগ মানুষের মুখে মাক্স রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব আছে।

(এটি/এসপি/জুলাই ১০, ২০২১)