স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ শ্রমিকের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

একইসঙ্গে আগুনের ঘটনায় আহতদের প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট আবেদনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

তবে আপাতত নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫ লাখ টাকা করে দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) কয়েকটি মানবাধিকার ও আইনগত সহায়তাকারী সংগঠন ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর রিট আবেদনটি প্রেরণ করেন।

সংগঠনগুলো হলো—আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে—স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজধানী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিরেক্টর জেনারেল, ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিপার্টমেন্ট অব ইন্সপেকশন ফর ফ্যাক্টরিজ অ্যান্ড এস্টাব্লিসমেন্ট), ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, রূপগঞ্জের ইউএনও, ওসি, হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডিকে।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর শনিবার (১০ জুলাই) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবন থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব নয়। ফলে সেগুলো এখনো ঢামেক ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনদের ডিএনএ টেস্ট করিয়ে মরদেহ শনাক্তের পর হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর ওই ভবনের বিভিন্ন ফ্লোর থেকে আতঙ্কিত শ্রমিকরা লাফিয়ে পড়েন। এতে আরও তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ১১, ২০২১)