নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা এলাকায় ২৫/৩০ টি অবৈধ ড্রেজারের পাইপ রাস্তার উপর দিয়ে স্থাপনের কারণে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা সহ ফসলি জমি ভরাট এর কারণে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। জনগণের প্রশ্ন কি কারণে এসকল ড্রেজারের পাইপ বহাল তবিয়তে আছে আর প্রশাসনের কারা এর হালুয়া-রুটির ভাগ পায় ?

অপরদিকে গোপালগঞ্জের লোক পরিচয় দানকারি ফরাজিকান্দা এলাকার ঘর জামাই হিসেবে ক্ষ্যাত চাপাবাজ ও পুলিশের সোর্স হিসাবে পরিচিত আজহার ওরফে জামাই আজহার মদনগঞ্জ ভূমি অফিসের সীমানা ঘেঁষে অবৈধ ড্রেজার স্থাপন করে। এ বিষয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলে রহস্যজনক কারনে এই ড্রেজার পাইপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। কয়েকদিন আগে বন্দর ইউএনও সাংবাদিকদের সাথে চা চক্রে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অটো চালক শামীম ও মাসুম জানান, আমরা এই ড্রেজারের পাইপের উপর দিয়ে গাড়ি চালাই খুব রিক্স নিয়ে। একটু বৃষ্টি হলেই গাড়ির চাকা স্লীপ খায় এখান দিয়ে উঠতে গেলে, যেকোনো সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে, বন্দর উপজেলায় কৃষি জমি নেই বললেই চলে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময় হতে আদৌ পর্যন্ত অবৈধ ড্রেজারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ড্রেজারের অবৈধ কবল হতে বন্দরবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, নির্বাহী কর্মকর্তা শুক্লা সরকারসহ বন্দর থানা প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সুফল পায়নি বন্দরবাসী। আর এই ড্রেজারের ঘটনায় বন্দরের ফরাজীকান্দা, সোনাকান্দা, দড়িসোনাকান্দা, বেপারীপাড়াসহ ৬/৭ টি এলাকার একাধিক গ্রুপ দীর্ঘ দিন যাবত কঠোর অবস্থানে। মদনগঞ্জ-মদনপুর ১শ'ফুট সড়ককে কেন্দ্র করে একাধিক গ্রুপের মাঝে একাধিকবার মারামারি হয়েছে। এ ড্রেজার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষের আশংকায় সচেতন মহল। আর এই পাইপ স্থাপন নিয়ে অপত্তিকর কোন ঘটনা ঘটলে তা আইন শৃঙ্খলা অবনতিসহ স্থানীয় সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিদের বদনাম হবে।

(এস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০২১)