বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ শর্ত পুরণ না করলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সম্মান ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞানও সংস্কৃতি বষিয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) এমন পরিকল্পনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে পরিবেশবাদী ও পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘মৌমাছি ও মধু’ নামে একটি পরিবেশ সংগঠন ইউনেস্কোর এমন পরিকল্পনার প্রতিবাদে বাগেরহাটের শরণখোলায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে।

শরণখোলা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন, সুন্দরবন সহব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি এম ওয়াদুদ আকন, মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ফরাজী, মৌমাছি ও মধুর সমন্বয়কারী রাসেল আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সুন্দরবন পৃথিবীর একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন। এই বন শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের যে কোনো ঐতিহ্যবাহী স্থানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ইউনেস্কোর বেধে দেওয়া শর্ত ধীরে ধীরে পুরণ করছে। ইউনেস্কো যেনো তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে, সুন্দরবন উপকূলবাসীর পক্ষ থেকে আমরা সেই দাবী জানাই।

উল্লেখ্য, ১৬ জুন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞানও সংস্কৃতি বষিয়ক সংস্থার রিয়েকটিভ মনিটরিং মিশনের এক প্রতিবেদনে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। শর্তগুলোর মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ বন্ধ রাখতে হবে, সেখানে আর কোনো ভারী শিল্প কারখানার অনুমোদন না দেওয়া এবং ইতিমধ্যে গড়ে ওঠা শিল্প করকারখানাগুলোর প্রভাব মূল্যায়ন করতে একটি সমীক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার শর্তগুলো কতটুকু পালন করলো তার ওপর নির্ভর করবে সুন্দরবনের বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সম্মান টিকে থাকার বিষয়টি।

(এসএকে/এসপি/জুলাই ১৫, ২০২১)