মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিধি উপেক্ষা করে নেত্রকোনার মদনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে পৌরসভার মার্কেট গুলিসহ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের হাট-বাজারের কেনাকাটা বেড়েছে। অনেকে ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন ঈদের কেনাকাটা। এবারে ক্রেতাদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। পুরুষ ক্রেতার সংখ্যা কম লক্ষ করা গেছে। 

পৌরসদরের মার্কেট গুলোর মধ্যে মহিউদ্দিন মার্কেট, দেওয়ান বাজার, তালুকদার মার্কেট, তরিক মার্কেটে উপছে পড়া ভিড়। কাপড়ের দোকানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদকে সামনে রেখে উপজেলা সদরের মার্কেটে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড় সামাল দিতে পারছেন না দোকান মালিকরা। স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব মোটেই মানছেন না, যদিও অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক লক্ষ করা গেছে। মালামাল কিনতে গিয়ে যেন দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
ঝুঁকি নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ক্রেতারা বলেন, প্রতিটি দোকানে ভিড়, যে কারণে কারও পক্ষেই স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না। ঈদে নিজেদের জন্য না হলেও বাচ্চাদের জন্য নতুন জামা-কাপড় কিনতে হবে। তাই ঝুঁকি নিয়েও বাজারে এসেছি।’

ব্যবসায়ীরা জানায়, এবারে অনেক দেরি করে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। গত বছরের ঈদে করোনার কারণে খুব একটা কেনাকাটা হয়নি। করোনার প্রভাব বেশি থাকায় বাজার দখল করেছে দেশীয় কাপড়। এছাড়া শিশুদের হরেক রকম পোশাকও বিক্রি হচ্ছে বেশি। তবে শিশুদের পোশাকের দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। এছাড়াও জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্টের পাশাপাশি কালার শার্ট ফুলশার্ট, চেক শার্ট, এক কালার শার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। টপ, স্কার্ট, ফ্রকও রয়েছে ছোটদের পছন্দের তালিকা।

হরেক রকমের বর্ণালী পাঞ্জাবির চাহিদাই এবার সর্বাধিক। এক রঙয়ের বা সাদা পাঞ্জাবির দিকে নজরই দিচ্ছে না ক্রেতারা। জুতা স্যান্ডেলের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে।

মহি উদ্দিন মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, লকডাউন সব খেয়ে ফেলেছে। ক্রেতাদের জন্য ভাল মালামাল এবার কেনা যায়নি। আমাদের জুতার দোকানে ভিড় থাকলেও গতবারের মত বিক্রি নেই। এ কারণে জুতা ব্যবসায় লস হতে পারে।

তাপস বস্ত্রলায়ের মালিক কাপড় ব্যবসায়ী তাপস বলেন,লোকজনের সমাগম আছে। তবে বিক্রি বেশিও হচ্ছে না আবার কমও হচ্ছে না। মোটামুটি ভাল।

দোকান মালিক সমিতির সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য একে এম সাইফুল ইসলাম হান্নান বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব স্বাস্থবিধি মেনে চলছি। তবে ক্রেতাদের দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে অনুরোধ করলেও তারা শুনছেন না।
মহিউদ্দিন মার্কেটর বণিক সমিতির সভাপতি আল আমীন বললেন, সব দোকানেই ভালো কেনা-বেচা শুরু হয়েছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনা-বেচা করছেন। আমরা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করছি।

(এম/এসপি/জুলাই ১৬, ২০২১)