মোঃ শান্ত (নারায়ণগঞ্জ সদর) : 

আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩, ৫, ৮ এবং ৯নং ওয়ার্ডের কোরবানির পশুর হাট গুলো। স্বাস্থ্য বিধিমালা মেনে হাট গুলো পরিচালনার কথা থাকলেও হাট গুলোতে জনসাধারণের মাঝে দেখা যায়নি কোনো স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানার ফোটা চিহ্ন। একপ্রকার স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই কোরবানির পশুর হাট গুলো পরিচালনা করতে দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতার মুখেই দেখা যায় নি মাস্ক। সামাজিক দুরুত্ব মানতে যেন সকলেরই অনিহা। মাস্কের কথা জিজ্ঞাসা করলেই যেন সকলেই আকাশ থেকে পরেছে। আর এক একজন এক এক রকম অজুহাত দেখাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪টি অস্থায়ী হাটের অনুমতি দিলেও অবৈধ ভাবে ছোট ছোট আরো অর্ধশতাধিক হাট বসেছে। পশুর দাম নিয়ে ও চলছে নানা মতবিরোধ।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছর কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি।

বিক্রেতারা জানান, ক্রেতাদের কাছে আমরা পশুর ন্যায দাম্ফ চাচ্ছি। এবং সীমিত লাভে পশু বিক্রি করে দিচ্ছি। ৫নং ওয়ার্ডের হাট ইজারাদার কবির হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি মেনেই আমরা কোরবানির পশুর হাট পরিচালনা করছি। আমাদের সেচ্ছাসেবীদের দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পশুর বেপারীদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কিনা আমরা সেই দিক গুলো নজর রাখছি। পাশাপাশি জাল নোট চিহ্নিত করার জন্য মেশিনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের হাটে আনুমানিক ৩০০০ গরু রয়েছে।

এ দিকে স্বাস্থ্য বিধিমালা কেউ যদি না মানে তাহলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মশিউর রহমান। তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে যে কয়েকটি কোরবানির পশুর হাট আছে সার্বক্ষনিক থানা পুলিশ নিরাপত্তা দিতে তৎপর রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ হাট গুলো যেন পরিচালনা করতে না পারে তাই থানা পুলিশের টহলের মাধ্যমে করা করা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

(এস/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২১)